তুহিন ভূইয়া,স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা জানায় ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য। উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ হাবিব’র বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে এ অনাস্থা পত্র দেন। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়।
ইউপি সদস্যদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকরী সচিব জেসমীন প্রধান এক আদেশে নরসিংদী জেলা প্রশাসককে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলামকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘোষণা করে। তদন্ত কমিটি বিগত ৭ আগস্ট ইউনিয়নে পরিষদে গণশুনানি করে। এরপর অদৃশ্য কারণে এই তদন্ত স্থিমিত হয়ে পড়ে। তদন্তে রিপোর্ট ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে থাকে মাসের পর মাস যা আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ হাবিব হয়ে উঠে আরও বেশী বেপরোয়া, আরও বেশী ক্ষিপ্র। অনেকটা ‘থোরাই কেয়ার’ এমন ভাবে চালাচ্ছে অপরাধ কর্মকান্ড।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) এর সংশোধন কল্পে প্রণীত আইন এর ৩৯ ধারা এবং ৩৯ এর (১) থেকে ৩৯ এর (১৫) এ উপধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ হাবিব এর বিরুদ্ধে ১০ সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব জ্ঞাপন করে। বিভিন্ন কার্যক্রমে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত লোক দিয়ে অবৈধভাবে কাজগুলো করে থাকে। এ বিষয়ে সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তা আমলে না নিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি প্রদান করে। তার অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে ইউপি সদস্যরা স্বেচ্ছাচারিতার রোশানলের স্বীকার হয়। কথা বললেই হুমকির মুখে পড়তে হয়।
অনৈতিক ভাবে একই ব্যক্তির নামে একাধিক জন্ম সনদ তৈরি, বয়স বাড়ানো-কমানো, ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহের সহায়তা করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। এছাড়াও সদস্যদের বরাদ্দকৃত বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড না দিয়ে গোপনে তার লোকজনের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে নামে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অত্র ইউনিয়নে গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ এর ৫ ধারা লঙ্গন করে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে গ্রাম আদালতের বিচার কাজ করে থাকে।
সরকার কর্তৃক টি.আর, কাবিখা সদস্যের মাধ্যমে বন্টন না করে মনগড়া মত চলছে। সদস্যদের না জানিয়ে ইদানীং ইউপি ভবন মেরামত বাবদ বরাদ্ধের আংশিক কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটপাট করে। চেয়ারম্যানের দূনীর্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ কার্যকলাপের দরুন ইউপি সদস্যরা কিছুই করতে পারে না। এমনকি ইউনিয়নবাসী তার যাবতীয় কার্যকলাপে খুবই ক্ষুব্ধ।
এদিকে ইউপি সদস্যদের দেয়া অনাস্থা ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকিসহ লোক দিয়ে মারধোর করছেন। দিচ্ছেন নামে বেনামে মামলা।
অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর দানকারী ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য রহমত উল্যাহ বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা সম্মিলিতভাবে অনাস্থা দেয়ায়, তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে আমাকে হয়রানি করেছে। শুধু তাই নয় জনসম্মুখে আমাকে মারতে লাঠি নিয়ে তেরে এসেছিল, আমি ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই।
৮নং ওয়ার্ডের ৬৮ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ ইউপি সদস্য শিশু মিয়া বলেন, উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের আমরা অধিকাংশ সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিলাম। যার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তার রায়পুরা থানাহাটি এলাকার এক লোককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপহরের মামলা দেয়। অবশ্য পরে সে মামলা আমরা দু’পক্ষ আপোষ মিমাংসা করে নেই।
এ ব্যাপারে উত্তর বাখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ’র সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে (০১৯২০****০৮ নাম্বারে) কয়েক দফা একাধিক নাম্বার থেকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে তদন্ত কমিটির প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দুর্নীতি বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট ইউএনও স্যারের কাছে অনেক আগেই জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শাহীদ চৌধুরী বলেন, আপনারা অবগত আছেন আমি গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা উপজেলার দায়িত্ব পাই। উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতির তদন্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি অফিসে গিয়ে বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ নরসিংদীর উপ-পরিচালক মৌসুমী সরকার রাখি বলেন, রায়পুরা ইউএনও অফিস থেকে এখনও তদন্তের রিপোর্ট আমাদের কাছে দেওয়া হয়নি। বিস্তারিত জানতে রায়পুরা ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করবেন। তারা কেন রিপোর্ট জমা দেয়নি সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি সেটা বলা ঠিক হবেনা। তদন্ত কমিটির প্রধান যেহেতু বলেছেন তদন্ত রিপোর্ট ইউএনও বরাবর জমা দিয়েছেন। তাহলে সেটা সাবেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে আমি মনে করছি। আর এ জেলা আমি, ডিডিএলজি ও ইউএনও তিনজনই নতুন তাই বিষয়টা আমাদের তিনজনেরই জানা নাও থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিব।
ইউপি সদস্যদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকরী সচিব জেসমীন প্রধান এক আদেশে নরসিংদী জেলা প্রশাসককে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলামকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘোষণা করে। তদন্ত কমিটি বিগত ৭ আগস্ট ইউনিয়নে পরিষদে গণশুনানি করে। এরপর অদৃশ্য কারণে এই তদন্ত স্থিমিত হয়ে পড়ে। তদন্তে রিপোর্ট ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে থাকে মাসের পর মাস যা আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ হাবিব হয়ে উঠে আরও বেশী বেপরোয়া, আরও বেশী ক্ষিপ্র। অনেকটা ‘থোরাই কেয়ার’ এমন ভাবে চালাচ্ছে অপরাধ কর্মকান্ড।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) এর সংশোধন কল্পে প্রণীত আইন এর ৩৯ ধারা এবং ৩৯ এর (১) থেকে ৩৯ এর (১৫) এ উপধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ হাবিব এর বিরুদ্ধে ১০ সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব জ্ঞাপন করে। বিভিন্ন কার্যক্রমে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত লোক দিয়ে অবৈধভাবে কাজগুলো করে থাকে। এ বিষয়ে সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তা আমলে না নিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি প্রদান করে। তার অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে ইউপি সদস্যরা স্বেচ্ছাচারিতার রোশানলের স্বীকার হয়। কথা বললেই হুমকির মুখে পড়তে হয়।
অনৈতিক ভাবে একই ব্যক্তির নামে একাধিক জন্ম সনদ তৈরি, বয়স বাড়ানো-কমানো, ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহের সহায়তা করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। এছাড়াও সদস্যদের বরাদ্দকৃত বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড না দিয়ে গোপনে তার লোকজনের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে নামে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অত্র ইউনিয়নে গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ এর ৫ ধারা লঙ্গন করে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে গ্রাম আদালতের বিচার কাজ করে থাকে।
সরকার কর্তৃক টি.আর, কাবিখা সদস্যের মাধ্যমে বন্টন না করে মনগড়া মত চলছে। সদস্যদের না জানিয়ে ইদানীং ইউপি ভবন মেরামত বাবদ বরাদ্ধের আংশিক কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটপাট করে। চেয়ারম্যানের দূনীর্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ কার্যকলাপের দরুন ইউপি সদস্যরা কিছুই করতে পারে না। এমনকি ইউনিয়নবাসী তার যাবতীয় কার্যকলাপে খুবই ক্ষুব্ধ।
এদিকে ইউপি সদস্যদের দেয়া অনাস্থা ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকিসহ লোক দিয়ে মারধোর করছেন। দিচ্ছেন নামে বেনামে মামলা।
অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর দানকারী ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য রহমত উল্যাহ বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা সম্মিলিতভাবে অনাস্থা দেয়ায়, তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে আমাকে হয়রানি করেছে। শুধু তাই নয় জনসম্মুখে আমাকে মারতে লাঠি নিয়ে তেরে এসেছিল, আমি ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই।
৮নং ওয়ার্ডের ৬৮ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ ইউপি সদস্য শিশু মিয়া বলেন, উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের আমরা অধিকাংশ সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিলাম। যার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তার রায়পুরা থানাহাটি এলাকার এক লোককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপহরের মামলা দেয়। অবশ্য পরে সে মামলা আমরা দু’পক্ষ আপোষ মিমাংসা করে নেই।
এ ব্যাপারে উত্তর বাখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ’র সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে (০১৯২০****০৮ নাম্বারে) কয়েক দফা একাধিক নাম্বার থেকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে তদন্ত কমিটির প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দুর্নীতি বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট ইউএনও স্যারের কাছে অনেক আগেই জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শাহীদ চৌধুরী বলেন, আপনারা অবগত আছেন আমি গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা উপজেলার দায়িত্ব পাই। উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতির তদন্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি অফিসে গিয়ে বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ নরসিংদীর উপ-পরিচালক মৌসুমী সরকার রাখি বলেন, রায়পুরা ইউএনও অফিস থেকে এখনও তদন্তের রিপোর্ট আমাদের কাছে দেওয়া হয়নি। বিস্তারিত জানতে রায়পুরা ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করবেন। তারা কেন রিপোর্ট জমা দেয়নি সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি সেটা বলা ঠিক হবেনা। তদন্ত কমিটির প্রধান যেহেতু বলেছেন তদন্ত রিপোর্ট ইউএনও বরাবর জমা দিয়েছেন। তাহলে সেটা সাবেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে আমি মনে করছি। আর এ জেলা আমি, ডিডিএলজি ও ইউএনও তিনজনই নতুন তাই বিষয়টা আমাদের তিনজনেরই জানা নাও থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিব।