দাদার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে রাজধানীর লালবাগে উম্মে হাবিবা সুমা (১৫) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হাবিবা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। সে পরিবারের সঙ্গে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ ডুরি আঙ্গুল লেন বড় মসজিদের পেছনে ভাড়া থাকতো।
হাবিবার চাচা মো. রুমন জানান, আমার বাবা আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তিনি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সপ্তাহে বাবাবে বাসায় নেওয়া হয়। হাবিবাকে খুবই ভালোবাসতেন তার দাদা। এজন্য হাবিবাও তার দাদাকে অনেক যত্ন করতো। সে নিজেই সময় মতো দাদাকে ওষুধ সেবন করাতো, খাবার খাইয়ে দিত, গোসল করিয়ে দিত। সব সময় দাদার আশপাশে থাকতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আমার বাবা বাসাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দাদার লাশের পাশে বসে কোরআন তিলাওয়াত করে। ঘণ্টা খানেক পর সে সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তার রুমে ঢুকতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। তখন তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ মেলে না। এতেই সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে হাবিবা। দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাবিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাবিবার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি নেওয়ার জন্য লালবাগ থানায় যোগাযোগ করছে।
জানা গেছে, হাবিবা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। সে পরিবারের সঙ্গে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ ডুরি আঙ্গুল লেন বড় মসজিদের পেছনে ভাড়া থাকতো।
হাবিবার চাচা মো. রুমন জানান, আমার বাবা আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তিনি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সপ্তাহে বাবাবে বাসায় নেওয়া হয়। হাবিবাকে খুবই ভালোবাসতেন তার দাদা। এজন্য হাবিবাও তার দাদাকে অনেক যত্ন করতো। সে নিজেই সময় মতো দাদাকে ওষুধ সেবন করাতো, খাবার খাইয়ে দিত, গোসল করিয়ে দিত। সব সময় দাদার আশপাশে থাকতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আমার বাবা বাসাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দাদার লাশের পাশে বসে কোরআন তিলাওয়াত করে। ঘণ্টা খানেক পর সে সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তার রুমে ঢুকতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। তখন তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ মেলে না। এতেই সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে হাবিবা। দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাবিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাবিবার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি নেওয়ার জন্য লালবাগ থানায় যোগাযোগ করছে।