কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোসেন(২৭)র খন্ড খন্ড দেহাংশ উদ্ধার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কিশোর গ্যাং লিডার এসকে সজিব ও সহযোগী ইফতিকে ৩তিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সৌপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এমামলায় গ্রেফতার ৬যুবকের মধ্যে ৪ যুবক ঘটনার দায় স্বীকার করে আদলতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিলেও এই খুনি-চক্রের প্রধান হোতা সজিব ও ইফতি দায় স্বীকার না করায় পুলিশের রিমান্ড আবেদনে আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কিন্তু রিমান্ড শেষে গত রবিবার বিকেলে সজিব ও ইফতিকে আদালতে সৌপর্দ করার পর তারা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এবং ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিতে অস্বীকার করায় আদালত শুনানী শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাজু মোহন সাহা বলেন, ‘সজিব রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ-কালে পুলিশের কাছেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে’।
গ্রেফতার সজিবের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন সেনা জানান, ‘গত ০৬ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানা’র আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ০৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কারাগার থেকে সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার সজিব ও ইফতিকে আদালতে সৌপর্দ করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সজিবের কোন দায় স্বীকারোক্তি পায়নি পুলিশ।
তবে রিমান্ড শেষে গ্রেফতার গ্যাং লিডার সজিবকে ঘটনার দায় স্বীকার না করাতে পারাটা সংশ্লিষ্ট পুলিশের ব্যর্থতা বলে দাবি করে নিহত মিলন হোসেনের স্ত্রী মিমি খাতুন বলেন, ‘সজিব ও সজলের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে পুলিশ লাশের টুকরা উদ্ধারের মধ্যদিয়ে ওরাই তো প্রমান করে দিয়েছে যে ওরা জড়িত, তাছাড়া ওই সময় পুলিশও সাংবাদিকদের জানায় যে এরাই জড়িত, অথচ আদালতে গিয়ে আসামী সজিব কোন স্বীকারোক্তি দিলো না ? তাহলে কি লোক দেখানোর জন্য পুলিশের এই রিমান্ড চাওয়া ? আমি এটাকে বলবো- জামাই খাতিরে পুলিশের নিষ্ফলা জিজ্ঞাসা!’ এমামলার শুরুতেই অজ্ঞাতনামা আসামী করে এজাহার দেয়া ছিলো একটা বড় ভুল’।
উল্লেখ্য, অপরাধ জগতের টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে মিলন হোসেন(২৭) নামে এক যুবককে হত্যা শেষে মরদেহ ৮টুকরো করে পদ্মা নদীর চরে বিভিন্ন স্থানে পুতে রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাং লিডার ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার মিলন শেখের ছেলে এসকে সজিব(২৪)সহ গ্রেফতার হন- কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩), হাউজিং সি ব্লক ২৫৩নং বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯), সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামানিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ (১৯), কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) এবং হাউজিং এষ্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো: সজল ইসলাম(১৯)। গ্রেফতার সজিব ও ইফতি ব্যতীত বাকী ৪জন আদালতে এই হত্যাকান্ডে নিজেরা জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে ১৬৪ ধারা আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হননি এই দুজন।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যা মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামী থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার সাথে জড়িত ৬ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তাছাড়া গ্রেফতার আসামীদের মধ্যে ৪জনই আদালতে দায় স্বীকার করে জবানন্দী দিয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়াতেই এরা এখন এজাহার ভুক্ত হয়ে যাবে’। সজিব ও ইফতি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যই গ্রেফতার সবাই এজাহারভুক্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু রিমান্ড শেষে গত রবিবার বিকেলে সজিব ও ইফতিকে আদালতে সৌপর্দ করার পর তারা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এবং ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিতে অস্বীকার করায় আদালত শুনানী শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাজু মোহন সাহা বলেন, ‘সজিব রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ-কালে পুলিশের কাছেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে’।
গ্রেফতার সজিবের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন সেনা জানান, ‘গত ০৬ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানা’র আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ০৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কারাগার থেকে সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার সজিব ও ইফতিকে আদালতে সৌপর্দ করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সজিবের কোন দায় স্বীকারোক্তি পায়নি পুলিশ।
তবে রিমান্ড শেষে গ্রেফতার গ্যাং লিডার সজিবকে ঘটনার দায় স্বীকার না করাতে পারাটা সংশ্লিষ্ট পুলিশের ব্যর্থতা বলে দাবি করে নিহত মিলন হোসেনের স্ত্রী মিমি খাতুন বলেন, ‘সজিব ও সজলের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে পুলিশ লাশের টুকরা উদ্ধারের মধ্যদিয়ে ওরাই তো প্রমান করে দিয়েছে যে ওরা জড়িত, তাছাড়া ওই সময় পুলিশও সাংবাদিকদের জানায় যে এরাই জড়িত, অথচ আদালতে গিয়ে আসামী সজিব কোন স্বীকারোক্তি দিলো না ? তাহলে কি লোক দেখানোর জন্য পুলিশের এই রিমান্ড চাওয়া ? আমি এটাকে বলবো- জামাই খাতিরে পুলিশের নিষ্ফলা জিজ্ঞাসা!’ এমামলার শুরুতেই অজ্ঞাতনামা আসামী করে এজাহার দেয়া ছিলো একটা বড় ভুল’।
উল্লেখ্য, অপরাধ জগতের টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে মিলন হোসেন(২৭) নামে এক যুবককে হত্যা শেষে মরদেহ ৮টুকরো করে পদ্মা নদীর চরে বিভিন্ন স্থানে পুতে রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাং লিডার ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার মিলন শেখের ছেলে এসকে সজিব(২৪)সহ গ্রেফতার হন- কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩), হাউজিং সি ব্লক ২৫৩নং বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯), সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামানিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ (১৯), কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) এবং হাউজিং এষ্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো: সজল ইসলাম(১৯)। গ্রেফতার সজিব ও ইফতি ব্যতীত বাকী ৪জন আদালতে এই হত্যাকান্ডে নিজেরা জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে ১৬৪ ধারা আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হননি এই দুজন।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যা মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামী থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার সাথে জড়িত ৬ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তাছাড়া গ্রেফতার আসামীদের মধ্যে ৪জনই আদালতে দায় স্বীকার করে জবানন্দী দিয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়াতেই এরা এখন এজাহার ভুক্ত হয়ে যাবে’। সজিব ও ইফতি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যই গ্রেফতার সবাই এজাহারভুক্ত হয়ে যাবে।