ঠাকুরগাঁও থেকে: ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রে শিল্পীদের অডিশনে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিযোগ, সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রে তিন দিন ব্যাপী আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ে অডিশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক আগ্রহী প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেন। অডিশনের পর ৩৩ জনকে উত্তীর্ণ উল্লেখ করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণদের কয়েক জন ছাড়া অধিকাংশ অযোগ্য, জামায়াত-শিবির কর্মীদের নেয়া হয়েছে বলে দাবী করেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। এনিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তার সখ্যতায় পূর্বপরিচিতদের বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী করার জন্য এই অডিশনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বেতার কেন্দ্রটি সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্বেও বেতার কেন্দ্রের ভিতরে আঞ্চলিক পরিচালক তার খাতিরের ব্যক্তি ও বহিরাগতদের নিয়ে রাতের বেলা প্রায় প্রতি মাসে ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করে থাকেন। এই খরচের অর্থ ব্যয় নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন । কেউ কেউ বলছেন বেতারের শিল্পীদের সরকারি বরাদ্দ থেকে এই খরচ ব্যয় দেখানো হয়। এতে তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সম্মানী পরিশোধে ঘাটতি পরে।
বেতার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে শিশুদের উপস্থাপনা,আবৃত্তি সঙ্গীত, অভিনয় এই চারটি বিভাগের অডিশন। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিকে বেতারের শিল্পীদের গ্রেডেশনের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন আহব্বান করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,এবার যাদের গ্রেডেশনে উত্তীর্ণ করা হবে, আরডি তাদের নাম অডিশনের আগেই প্রকাশ করেছে। তাদের অধিকাংশই বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মী।
তাই শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। তাই অনেকেই এই আরডি থাকা কালে গ্রেডেশনের অডিশনে অংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন শিল্পীদের সংগঠন থেকে।
অপরদিকে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি অডিশনে অংশ গ্রহণকারী একাধিক প্রার্থী বলেন, অডিশন হয়েছে শুধু নাম মাত্র। পছন্দ-কৃত কতিপয়দের তালিকা ভুক্ত করতেই লোক দেখানো অডিশনের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে দুই-চারজন বাদে অধিকাংশরাই অযোগ্য। তিন বছরেরও অধিক সময় ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে আব্দুর রহিম। এই সময়ে তিনি বেতার কেন্দ্রটিকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণীত করেছেন। যেখানে অফিসের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই তার বিরুদ্ধে কোথায় অভিযোগ দিব? বিষয়টি বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের এ্যলাউন্সার ক্লাবে অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।
বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের এ্যলাউন্সার ক্লাব এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অনুপম মনি জানান, অডিশনে অনিয়মের বিষয়ে অসংখ্য অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীর অভিযোগ করেছেন। এবার কিছু অযোগ্যদের মনোনীত করা হয়েছে এটা সত্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিশনের একজন বিচারক শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে জানান, বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তবে সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, যোগ্যদের নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভয়েস রেকর্ড করা আছে। যাদের ভয়েস ভালো তাদের নেওয়া হয়েছে। বঞ্চিতরা অভিযোগ করতেই পারে। জামাতের সমর্থক থাকতে পারে গোয়েন্দা রির্পোটে বাদ যাবে।
আর সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বেতার কেন্দ্রের ভিতরে নিয়মিত পিকনিকের বিষয়ে তিনি বলেন, বছরে দুই একবার আয়োজন করা হয়ে থাকে যার অর্থ নিজস্ব। বিশেষ করে ডিসি, এসপি আসলে রাতের বেলা পিকনিক নয় খিচুরি পার্টির আয়োজন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তার সখ্যতায় পূর্বপরিচিতদের বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী করার জন্য এই অডিশনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বেতার কেন্দ্রটি সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্বেও বেতার কেন্দ্রের ভিতরে আঞ্চলিক পরিচালক তার খাতিরের ব্যক্তি ও বহিরাগতদের নিয়ে রাতের বেলা প্রায় প্রতি মাসে ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করে থাকেন। এই খরচের অর্থ ব্যয় নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন । কেউ কেউ বলছেন বেতারের শিল্পীদের সরকারি বরাদ্দ থেকে এই খরচ ব্যয় দেখানো হয়। এতে তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সম্মানী পরিশোধে ঘাটতি পরে।
বেতার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে শিশুদের উপস্থাপনা,আবৃত্তি সঙ্গীত, অভিনয় এই চারটি বিভাগের অডিশন। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিকে বেতারের শিল্পীদের গ্রেডেশনের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন আহব্বান করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,এবার যাদের গ্রেডেশনে উত্তীর্ণ করা হবে, আরডি তাদের নাম অডিশনের আগেই প্রকাশ করেছে। তাদের অধিকাংশই বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মী।
তাই শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। তাই অনেকেই এই আরডি থাকা কালে গ্রেডেশনের অডিশনে অংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন শিল্পীদের সংগঠন থেকে।
অপরদিকে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি অডিশনে অংশ গ্রহণকারী একাধিক প্রার্থী বলেন, অডিশন হয়েছে শুধু নাম মাত্র। পছন্দ-কৃত কতিপয়দের তালিকা ভুক্ত করতেই লোক দেখানো অডিশনের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে দুই-চারজন বাদে অধিকাংশরাই অযোগ্য। তিন বছরেরও অধিক সময় ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে আব্দুর রহিম। এই সময়ে তিনি বেতার কেন্দ্রটিকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণীত করেছেন। যেখানে অফিসের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই তার বিরুদ্ধে কোথায় অভিযোগ দিব? বিষয়টি বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের এ্যলাউন্সার ক্লাবে অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।
বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের এ্যলাউন্সার ক্লাব এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অনুপম মনি জানান, অডিশনে অনিয়মের বিষয়ে অসংখ্য অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীর অভিযোগ করেছেন। এবার কিছু অযোগ্যদের মনোনীত করা হয়েছে এটা সত্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিশনের একজন বিচারক শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে জানান, বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তবে সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, যোগ্যদের নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভয়েস রেকর্ড করা আছে। যাদের ভয়েস ভালো তাদের নেওয়া হয়েছে। বঞ্চিতরা অভিযোগ করতেই পারে। জামাতের সমর্থক থাকতে পারে গোয়েন্দা রির্পোটে বাদ যাবে।
আর সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বেতার কেন্দ্রের ভিতরে নিয়মিত পিকনিকের বিষয়ে তিনি বলেন, বছরে দুই একবার আয়োজন করা হয়ে থাকে যার অর্থ নিজস্ব। বিশেষ করে ডিসি, এসপি আসলে রাতের বেলা পিকনিক নয় খিচুরি পার্টির আয়োজন করা হয়।