ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষকরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠে। এদিকে একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের একাংশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং কর্মকর্তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ছিল। এর আগে ১২টি দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মকর্তারা। পরে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তাদের ১২ টি দাবি তুলে ধরেন। একই সাথে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান।
এরই মাঝে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখতে উপাচার্যের কাছে দাবি তুলেন। এ সময় উপাচার্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সেখানে তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘দালাল, দুর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও এময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়োগ বোর্ড চলমান রেখে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান।
উপাচার্য নিজে শিক্ষকদের হেনস্তা করার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ডেকে এনেছিল বলে দাবি করেন অবস্থানরত শিক্ষকরা। তবে উপাচার্য এটি অস্বীকার করে বলেন, আমি এর সাথে কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না। শিক্ষকদের সাথে আলোচনা চলাকালীন ছাত্রলীগের প্রবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের এভাবে প্রবেশ করা উচিত হয়নি।
এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কর্তৃপক্ষ যাদের যোগ্য মনে করবে তাদের নিয়োগ দিবে। এখানে ছাত্রলীগের কোন বিষয় নেই। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাক।
উপাচার্যের কার্যালয়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে যারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তারা ছাত্রলীগের সাবেক বিভিন্ন পদের নেতাকর্মী। তারা দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে দিন মজুর হিসেবে কাজ করছে। এখন তারা যদি নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়ে আন্দোলন করে তাহলে এখানে ছাত্রলীগের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমি বিষয়টি তে মর্মাহত। আমি মনে করি যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যে মান মর্যাদা সেটি নষ্ট করেছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একাংশ অবস্থান করছে। তাদের মতামত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ছিল। এর আগে ১২টি দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মকর্তারা। পরে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তাদের ১২ টি দাবি তুলে ধরেন। একই সাথে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান।
এরই মাঝে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখতে উপাচার্যের কাছে দাবি তুলেন। এ সময় উপাচার্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সেখানে তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘দালাল, দুর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও এময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়োগ বোর্ড চলমান রেখে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান।
উপাচার্য নিজে শিক্ষকদের হেনস্তা করার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ডেকে এনেছিল বলে দাবি করেন অবস্থানরত শিক্ষকরা। তবে উপাচার্য এটি অস্বীকার করে বলেন, আমি এর সাথে কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না। শিক্ষকদের সাথে আলোচনা চলাকালীন ছাত্রলীগের প্রবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের এভাবে প্রবেশ করা উচিত হয়নি।
এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কর্তৃপক্ষ যাদের যোগ্য মনে করবে তাদের নিয়োগ দিবে। এখানে ছাত্রলীগের কোন বিষয় নেই। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাক।
উপাচার্যের কার্যালয়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে যারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তারা ছাত্রলীগের সাবেক বিভিন্ন পদের নেতাকর্মী। তারা দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে দিন মজুর হিসেবে কাজ করছে। এখন তারা যদি নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়ে আন্দোলন করে তাহলে এখানে ছাত্রলীগের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমি বিষয়টি তে মর্মাহত। আমি মনে করি যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যে মান মর্যাদা সেটি নষ্ট করেছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একাংশ অবস্থান করছে। তাদের মতামত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না।