প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সাধারণত শীতকালে বাংলাদেশের অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ বছরটিও তার ব্যতিক্রম নয়। শীত শুরুর সাথে সাথে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এখন শীত জনিত রোগে শিশুরা ভর্তি আছে। কিন্তু চলতি মাসের মতো গত মাস গুলো তে ডায়রিয়া আক্রান্ত সহ অন্যান্য রোগের রোগী বেশি ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকেই বীরগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন সহ বীরগঞ্জ শহর সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী কাহারোল উপজেলা থেকে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন বীরগঞ্জ উপজেলার হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে। যেখানে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই প্রায় অর্ধেক। হাসপাতালে দৈনিক ভর্তি রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। যারা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এসব শিশুদের মাঝে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার তুলনায় প্রতিনিয়ত ভর্তি রোগী থাকছে অন্তত ছয় গুণ বেশি। বাড়তি এসব রোগীদের শয্যা না থাকায় মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া মোছাঃ মাসতারা বেগম জানান, আমার ছোট ছেলে ৬ মাসের শিশু, গত তিনদিন থেকে হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা। তারপর গত দুই দিন আগে অতিরিক্ত হওয়ায় আমি হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ায় ঠান্ডা জনিত কারণে শিশুদের রোগবালাইও বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। রোগের ধরন বুঝে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো দিন অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে, তখন একটু সমস্যা হয়। তবে আমরা সেবাদানে বেশ তৎপর রয়েছি।
এসময় রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেগুলো রোগীই তুলনামূলক-ভাবে বেশি। শীতের কারণে সকাল ৯টার পর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। তবে বেশি ভোগেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মহসিন আলী জানান, জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধ ও শিশু রোগী সংখ্যা বাড়ে এবং শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সংখ্যায় বেশি। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে, বর্তমানে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শৈত্য প্রবাহে বৃদ্ধ ও শিশু বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভালো ঘর ও কম্বলের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকেই বীরগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন সহ বীরগঞ্জ শহর সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী কাহারোল উপজেলা থেকে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন বীরগঞ্জ উপজেলার হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে। যেখানে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই প্রায় অর্ধেক। হাসপাতালে দৈনিক ভর্তি রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। যারা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এসব শিশুদের মাঝে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার তুলনায় প্রতিনিয়ত ভর্তি রোগী থাকছে অন্তত ছয় গুণ বেশি। বাড়তি এসব রোগীদের শয্যা না থাকায় মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া মোছাঃ মাসতারা বেগম জানান, আমার ছোট ছেলে ৬ মাসের শিশু, গত তিনদিন থেকে হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা। তারপর গত দুই দিন আগে অতিরিক্ত হওয়ায় আমি হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ায় ঠান্ডা জনিত কারণে শিশুদের রোগবালাইও বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। রোগের ধরন বুঝে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো দিন অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে, তখন একটু সমস্যা হয়। তবে আমরা সেবাদানে বেশ তৎপর রয়েছি।
এসময় রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেগুলো রোগীই তুলনামূলক-ভাবে বেশি। শীতের কারণে সকাল ৯টার পর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। তবে বেশি ভোগেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মহসিন আলী জানান, জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধ ও শিশু রোগী সংখ্যা বাড়ে এবং শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সংখ্যায় বেশি। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে, বর্তমানে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শৈত্য প্রবাহে বৃদ্ধ ও শিশু বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভালো ঘর ও কম্বলের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।