এবার হারিয়ে যাওয়ার ২৬ বছর পর ফেসবুকের কল্যাণে মেয়েকে ফিরে পেলেন সিরাজগঞ্জের আলিম উদ্দিন ও আমেনা দম্পতি। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার রূপপুর নতুনপাড়া মহল্লার পৈতৃক বাড়িতে ফিরে আসেন মেয়ে আনোয়ারা খাতুন (৩৪)। বর্তমানে তিনি এক ছেলে ও মেয়ের জননী। তাদের সঙ্গে করেই বাবার বাড়িতে এসেছেন আনোয়ারা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কৃষক আলিম তার অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে আট বছর বয়সে আনোয়ারাকে ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আনোয়ারা হারিয়ে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এতদিন পর ফিরে পাওয়ায় মেয়েটিকে দেখতে অনেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন।
সন্তান ফিরে পাওয়া কৃষক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার তিন সন্তানের মধ্যে আনোয়ারা বড়। আর এক ছেলে ও এক মেয়ে। আনোয়ারাকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে আমার ছেলে ইউটিউবে আরজে কিবরিয়ার একটি ভিডিওতে আনোয়ারার বিষয়ে জানতে পারে। পরে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।’
বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘শিশুকালে ঢাকার যে বাড়িতে কাজ করতাম তারা মাঝে মধ্যেই আমাকে মারধর করতেন। এজন্য সেখান থেকে পালিয়ে মুন্সিগঞ্জে যাই। পরে রাস্তায় আমি কান্নাকাটি করলে আমার বর্তমান শ্বশুর আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনিও আমার বাবা-মাকে খোঁজ করেছেন, কিন্তু আমি ঠিকানা জানতাম না। পরে তার ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দেন। এখন নিজের বাবা-মা ও ভাইবোনকে পেয়ে ভালো লাগছে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কৃষক আলিম তার অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে আট বছর বয়সে আনোয়ারাকে ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আনোয়ারা হারিয়ে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এতদিন পর ফিরে পাওয়ায় মেয়েটিকে দেখতে অনেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন।
সন্তান ফিরে পাওয়া কৃষক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার তিন সন্তানের মধ্যে আনোয়ারা বড়। আর এক ছেলে ও এক মেয়ে। আনোয়ারাকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে আমার ছেলে ইউটিউবে আরজে কিবরিয়ার একটি ভিডিওতে আনোয়ারার বিষয়ে জানতে পারে। পরে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।’
বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘শিশুকালে ঢাকার যে বাড়িতে কাজ করতাম তারা মাঝে মধ্যেই আমাকে মারধর করতেন। এজন্য সেখান থেকে পালিয়ে মুন্সিগঞ্জে যাই। পরে রাস্তায় আমি কান্নাকাটি করলে আমার বর্তমান শ্বশুর আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনিও আমার বাবা-মাকে খোঁজ করেছেন, কিন্তু আমি ঠিকানা জানতাম না। পরে তার ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দেন। এখন নিজের বাবা-মা ও ভাইবোনকে পেয়ে ভালো লাগছে।’