এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: লিফট যেন একটি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে। লিফটে ওঠা-নামার সময় চলন্ত পথে হঠাৎ বিকল হয়ে যেত লিফটগুলো। এতে পাঁচ মিনিট থাকে ঘন্টা পর্যন্ত আবদ্ধ লিফটে অন্ধকারে আটকা পরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। লিফটে আধুনিক ভেন্টিলেশন সুবিধা না থাকায় আবদ্ধ লিফটে সৃষ্টি হতো শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এ সমস্যা সমাধানে এবার লিফটগুলোতে স্থাপন করা হলো ‘থ্রী ওয়ে কমিউনিকেশন ’প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে আটকা পরা ভুক্তভোগী তাৎক্ষণিক লিফট অপারেটরের কাছে থেকে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চাইতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি দশ তলা ভবনের মোট পনেরটি লিফটে এই প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লিফটে আটকে পরা ব্যাক্তি ইন্টারকম মাধ্যমে লিফট কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা অপারেটরকে নিজের অবস্থা জানাতে পারবেন। যেন উদ্ধারকারী টিম তাকে দ্রুততম সময়ে তার কাছে পৌছাতে পারে। কন্ট্রোল রুমের সাথেও যদি কোন কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় তৃতীয় অপশন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে যোগাযোগ করতে আর একটি কল সেন্টার বসানো হয়েছে। যেকোন উপায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এমন তিন স্তরের কমিনিউকেশন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের লিফট অপারেটর মোহাম্মদ আখতারুল এই প্রযুক্তির বিষয়ে বলেন, ইন্টারকম কমিনিউকেশন ছাড়া লিফটের তত্ত্বাবধান করা খুব কঠিন কাজ ছিলো। দশ তলা ভবনের চারটি লিফটে চল্লিশটি স্টেশন। লোডশেডিং বা কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কে কথায়, কোন স্টেশনে আটকা পরত বোঝার কোন উপায় ছিলোনা। যার কারণে ভুক্তভোগীকে আমরা দ্রুততার সাথে উদ্ধার করতে পারতাম না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, প্রযুক্তিটি যুক্ত করা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন ট্রায়েল চলছে। এখন লিফটে উঠতে শিক্ষার্থীদের কোন ভয় নেই। কেউ আটকা পরলে ভিতর থেকেই সরাসরি কন্ট্রোল রুমে সাহায্য চাইতে পারবে। সিকিউরিটি বক্সে আমাদের চব্বিশ ঘণ্টা লোক থাকে সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবে। অর্থাৎ এখন কেউ না কেউ তাকে উদ্ধার করতে আসবেই। রেসকিউ টিমকে এভাবেই প্রস্তুত কিরা হয়েছে। এর কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। এখন দুই একদিন আমাদের ট্রায়েল সেশন চলছে।
প্রযুক্তি স্থাপনের ব্যয় কত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে কিনা হয়েছে লিফট কোম্পানি ‘ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার'স এটি সরবরাহ করেছে। নিরাপদ লিফট (ট্রাবল ফ্রী) সরবরাহ করতে তারা যুক্ত অনুযায়ী দায়বদ্ধ। সে হিসেবেই তারা এটি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লিফট কিনতে উপাচার্যসহ ৬ সদস্যের একটি দল কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উদ্যোগ নিলে দেশ ব্যাপী আলোচনায় আসে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট কান্ড। এরপর ২০২১ সালে লিফট গুলো চালু হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় দেড় শতাধিক লিফটে আটকা পরার মতো ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে অনেকে অভিজ্ঞতা ছিলো ভয়াবহ। অনেকে লিফট আতঙ্কে সিঁড়ি ব্যাবহার করতো। এতে খুব-বেশি ভ্রুক্ষেপ ছিলোনা প্রশাসনের। সর্বশেষ গত সতের অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ ছয়জন লিফটে আটকা পড়লে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি দশ তলা ভবনের মোট পনেরটি লিফটে এই প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লিফটে আটকে পরা ব্যাক্তি ইন্টারকম মাধ্যমে লিফট কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা অপারেটরকে নিজের অবস্থা জানাতে পারবেন। যেন উদ্ধারকারী টিম তাকে দ্রুততম সময়ে তার কাছে পৌছাতে পারে। কন্ট্রোল রুমের সাথেও যদি কোন কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় তৃতীয় অপশন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে যোগাযোগ করতে আর একটি কল সেন্টার বসানো হয়েছে। যেকোন উপায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এমন তিন স্তরের কমিনিউকেশন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের লিফট অপারেটর মোহাম্মদ আখতারুল এই প্রযুক্তির বিষয়ে বলেন, ইন্টারকম কমিনিউকেশন ছাড়া লিফটের তত্ত্বাবধান করা খুব কঠিন কাজ ছিলো। দশ তলা ভবনের চারটি লিফটে চল্লিশটি স্টেশন। লোডশেডিং বা কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কে কথায়, কোন স্টেশনে আটকা পরত বোঝার কোন উপায় ছিলোনা। যার কারণে ভুক্তভোগীকে আমরা দ্রুততার সাথে উদ্ধার করতে পারতাম না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, প্রযুক্তিটি যুক্ত করা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন ট্রায়েল চলছে। এখন লিফটে উঠতে শিক্ষার্থীদের কোন ভয় নেই। কেউ আটকা পরলে ভিতর থেকেই সরাসরি কন্ট্রোল রুমে সাহায্য চাইতে পারবে। সিকিউরিটি বক্সে আমাদের চব্বিশ ঘণ্টা লোক থাকে সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবে। অর্থাৎ এখন কেউ না কেউ তাকে উদ্ধার করতে আসবেই। রেসকিউ টিমকে এভাবেই প্রস্তুত কিরা হয়েছে। এর কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। এখন দুই একদিন আমাদের ট্রায়েল সেশন চলছে।
প্রযুক্তি স্থাপনের ব্যয় কত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে কিনা হয়েছে লিফট কোম্পানি ‘ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার'স এটি সরবরাহ করেছে। নিরাপদ লিফট (ট্রাবল ফ্রী) সরবরাহ করতে তারা যুক্ত অনুযায়ী দায়বদ্ধ। সে হিসেবেই তারা এটি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লিফট কিনতে উপাচার্যসহ ৬ সদস্যের একটি দল কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উদ্যোগ নিলে দেশ ব্যাপী আলোচনায় আসে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট কান্ড। এরপর ২০২১ সালে লিফট গুলো চালু হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় দেড় শতাধিক লিফটে আটকা পরার মতো ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে অনেকে অভিজ্ঞতা ছিলো ভয়াবহ। অনেকে লিফট আতঙ্কে সিঁড়ি ব্যাবহার করতো। এতে খুব-বেশি ভ্রুক্ষেপ ছিলোনা প্রশাসনের। সর্বশেষ গত সতের অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ ছয়জন লিফটে আটকা পড়লে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো।