রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করে ছিনতাইকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আজহা নামে শিক্ষার্থীকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তার ঢাবি শিক্ষার্থী আজহা ফলিত গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গোপালগঞ্জে কর্মরত নারী কনস্টেবল জেসমিন ও তার ভাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসেন। এসময় আজহা ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে জেসমিন ও তার ভাইকে উত্ত্যক্ত করে; এক পর্যায়ে গায়ে হাত তোলেন। পরে জেসমিনের কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে নারী কনস্টেবল জেসমিন, আজহাকে ধরে ফেলেন। তখন আজহার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থী আজহাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে জেসমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
অভিযুক্ত অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাবির মিউজিক বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্তজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিফ আজীম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন। তারা সবাই ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন বলেন, আমি গোপালগঞ্জে নারী কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছি। গত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমি আমার ভাইকে নিয়ে ঘুরতে এলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আমাদেরকে উত্ত্যক্ত করে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে মারধর করে সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার পেশাগত পরিচয় দেওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমি একজনকে ধরে ফেলি। পরে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মামলা দায়ের করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ব্যাপারে আমরা কোনো দয়া দেখাবো না। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এখন ডিবি ঘটনাটি তদন্ত করবে। আমরা এখন অভিযুক্তদের হলে ও বাসায় চিঠি পাঠাবো।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ছিনতাইকারীর মারধরে আহত হয়ে নারী পুলিশ সদস্য তার ভাইসহ রোববার রাতে চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা চলে যান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ঘটনায় নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। এছাড়াও ঢাবির অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তার ঢাবি শিক্ষার্থী আজহা ফলিত গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গোপালগঞ্জে কর্মরত নারী কনস্টেবল জেসমিন ও তার ভাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসেন। এসময় আজহা ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে জেসমিন ও তার ভাইকে উত্ত্যক্ত করে; এক পর্যায়ে গায়ে হাত তোলেন। পরে জেসমিনের কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে নারী কনস্টেবল জেসমিন, আজহাকে ধরে ফেলেন। তখন আজহার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থী আজহাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে জেসমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
অভিযুক্ত অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাবির মিউজিক বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্তজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিফ আজীম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন। তারা সবাই ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন বলেন, আমি গোপালগঞ্জে নারী কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছি। গত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমি আমার ভাইকে নিয়ে ঘুরতে এলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আমাদেরকে উত্ত্যক্ত করে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে মারধর করে সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার পেশাগত পরিচয় দেওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমি একজনকে ধরে ফেলি। পরে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মামলা দায়ের করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ব্যাপারে আমরা কোনো দয়া দেখাবো না। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এখন ডিবি ঘটনাটি তদন্ত করবে। আমরা এখন অভিযুক্তদের হলে ও বাসায় চিঠি পাঠাবো।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ছিনতাইকারীর মারধরে আহত হয়ে নারী পুলিশ সদস্য তার ভাইসহ রোববার রাতে চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা চলে যান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ঘটনায় নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। এছাড়াও ঢাবির অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।