বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর। বৃহস্পতিবার এক সরকারী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়। এর আগে পৃথক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে শৌকত আকবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ লি. (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং এনার্জি ডিভিশনের (এনপিইডি) প্রধান হিসেবে নিয়োগের পর থেকে তিনি দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২৫ বছরের বেশী বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শৌকত আকবর পারমাণবিক শক্তি ও জ্বালানি, পারমাণবিক প্রকেৌশল, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রগুলিতে রেখেছেন। ড. আকবর ৩৫ বছর এনপিইডি দায়িত্ব গ্রহণ করে বাপশক-তে সর্বকনিষ্ঠ বিভাগীয় প্রধান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি কমিশনের নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যান্ড রেডিয়েশন কন্ট্রোল ডিভিশন (এনএসআরসি) এবং এনপিইডি’তে কাজ করার সময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, অধ্যাপক ড. নইম চৌধুরী এবং ড. সি এস করিমের মতো বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করার বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
তাঁর সমৃদ্ধ অবদান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পেশাদার, একাডেমিক এবং সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে।
ড. শৌকত আকবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে কমিশনে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি ২০০০ সালে কোরিয়ায় গবেষণা বিজ্ঞানী হিসাবেও কাজ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সমপ্রতি ডক্টর আকবরকে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) একটি কারিগরি কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আইএইএ’র পারমাণবিক শক্তি অবকাঠামোর টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপে চার বছরের মেয়াদে কাজ করবেন। আইএইএ’র মতে, পারমাণবিক শক্তি অবকাঠামো সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত ওয়ার্কিং গ্রুপ হল বিশেষজ্ঞদের একটি দল যা জাতীয় পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের সমর্থনে আইএইএকে পরামর্শ প্রদানের জন্য গঠিত।
ড. আকবর ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ অবকাঠামো এবং পারমাণবিক প্রকল্পের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত আইএইএ’র প্রায় সমস্ত ‘টিসি' এবং ‘আরসিএ' প্রকল্পের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ, ফোকাল পয়েন্ট এবং কাউন্টার পার্টসের সদস্য হিসাবে আইএইএ কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের এনপিপি উন্নয়নের জন্য আইএইএ-এর অনন্য সমন্বয়কারী।
ড. আকবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৩০টিরও বেশি গবেষণার সুপারভাইজার ছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১০ জন গবেষকের পিএইচডি গবেষণা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ১৩০টি বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রায় ৬০টি প্রকাশনা রয়েছে। কর্মজীবনে তিনি জাপান, কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আবুধাবি (ইউএই), রাশিয়া এবং বেলারুশ সফর করেছেন।
চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে শৌকত আকবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ লি. (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং এনার্জি ডিভিশনের (এনপিইডি) প্রধান হিসেবে নিয়োগের পর থেকে তিনি দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২৫ বছরের বেশী বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শৌকত আকবর পারমাণবিক শক্তি ও জ্বালানি, পারমাণবিক প্রকেৌশল, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রগুলিতে রেখেছেন। ড. আকবর ৩৫ বছর এনপিইডি দায়িত্ব গ্রহণ করে বাপশক-তে সর্বকনিষ্ঠ বিভাগীয় প্রধান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি কমিশনের নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যান্ড রেডিয়েশন কন্ট্রোল ডিভিশন (এনএসআরসি) এবং এনপিইডি’তে কাজ করার সময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, অধ্যাপক ড. নইম চৌধুরী এবং ড. সি এস করিমের মতো বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করার বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
তাঁর সমৃদ্ধ অবদান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পেশাদার, একাডেমিক এবং সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে।
ড. শৌকত আকবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে কমিশনে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি ২০০০ সালে কোরিয়ায় গবেষণা বিজ্ঞানী হিসাবেও কাজ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সমপ্রতি ডক্টর আকবরকে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) একটি কারিগরি কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আইএইএ’র পারমাণবিক শক্তি অবকাঠামোর টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপে চার বছরের মেয়াদে কাজ করবেন। আইএইএ’র মতে, পারমাণবিক শক্তি অবকাঠামো সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত ওয়ার্কিং গ্রুপ হল বিশেষজ্ঞদের একটি দল যা জাতীয় পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের সমর্থনে আইএইএকে পরামর্শ প্রদানের জন্য গঠিত।
ড. আকবর ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ অবকাঠামো এবং পারমাণবিক প্রকল্পের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত আইএইএ’র প্রায় সমস্ত ‘টিসি' এবং ‘আরসিএ' প্রকল্পের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ, ফোকাল পয়েন্ট এবং কাউন্টার পার্টসের সদস্য হিসাবে আইএইএ কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের এনপিপি উন্নয়নের জন্য আইএইএ-এর অনন্য সমন্বয়কারী।
ড. আকবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৩০টিরও বেশি গবেষণার সুপারভাইজার ছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১০ জন গবেষকের পিএইচডি গবেষণা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ১৩০টি বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রায় ৬০টি প্রকাশনা রয়েছে। কর্মজীবনে তিনি জাপান, কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আবুধাবি (ইউএই), রাশিয়া এবং বেলারুশ সফর করেছেন।