এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই বাজারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে ০৭ জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে।এদের মধ্যে নৌকার কর্মী ০১জন ও পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ০৬ জন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার মাত্রাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জয়পুরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন ও কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করে।এ ঘটনায় নৌকার কর্মী মোঃ নজমুল হক বাদী হয়ে ১২ জনকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে শওকত হাবীব তালুকদার লজিক চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় পুলিশ ০২ জনকে গ্রেফতারও করেছে।কালাই থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন,মাত্রাই দক্ষিণ পাড়ার নৌকার কর্মী আব্দুস সাত্তারের ছেলে সোহাগ হোসেন(২৮) ।আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী একই এলাকার মোজাহার হোসেনের ছেলে রাশেদুল(৩০),ওসমান হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক(২৬),রাহেল মিয়ার ছেলে আব্দুস সামাদ(৪৮),আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আবু জাফর(৪২) এবং ওয়ায়েজ আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫২),আজাহারুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে মোক্তার হোসেন(৫৫)।
গ্রেফতারকৃত ০২জন হলেন-মাত্রাই এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সোহাগ হোসেন ও নৌকার কর্মী মইনুল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জয়পুরহাট-২(কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে নির্বাচন কালীন সময়ে সোহাগ ও তার বাবা আব্দুস সাত্তার মিলে নৌকার প্রার্থী হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা করেন এবং ভোটও দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সোহাগ তার মুরগির দোকান বন্ধ করে বাজার থেকে বাড়ীর দিকে যাবার সময় মাত্রাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছিলে বিদ্যালয়ের পিছন দিক থেকে এসে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর কর্মীরা একই এলাকার জাহিদ,রিপন ও সোহরাব,রাশেদুল, ওমর ফারুক,আবু জাফর,আব্দুস সামাদ ও তোফা মিয়াসহ ৮-১০ জন সোহাগকে এ্যালোপাতারিভাবে লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় হাঁসুয়ার কোপে সোহাগের পিট কেটে রক্তাক্ত জখম হয়।এবং সে মাটিতে পড়ে যায়। এ খবর পেয়ে নৌকার কর্মীরা মাত্রাই বাজারে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা করে ০৬ জন কর্মীকে গুরুতর জখম করে।
এ অবস্থায় বাজারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ০৭জনের মধ্যে ০১জনকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আর অন্য পক্ষের ০৬জনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।তাদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার লজিক বলেন,নৌকার কর্মীরা সবাই মিলে আমাদের ০৬জন কর্মীকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে এবং তিনটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে সাথে নিয়ে গেছে।আমরা ওদের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা করবো।
নৌকার কর্মী কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন,নৌকার কর্মীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা আগে হাঁসুয়ার কোপ মেরে জখম করেছে।ওরা সবাই মিলে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।ওদের বিরুদ্ধে আজ রাতেই মামলা করা হবে।
দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ০৭জন আহতের বিষয় নিশ্চিত করে কালাই থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন,এ ঘটনায় দুই পক্ষ-ই থানা এসে পৃথক দুটি মামলা করেন এবং দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার মাত্রাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জয়পুরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন ও কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করে।এ ঘটনায় নৌকার কর্মী মোঃ নজমুল হক বাদী হয়ে ১২ জনকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে শওকত হাবীব তালুকদার লজিক চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় পুলিশ ০২ জনকে গ্রেফতারও করেছে।কালাই থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন,মাত্রাই দক্ষিণ পাড়ার নৌকার কর্মী আব্দুস সাত্তারের ছেলে সোহাগ হোসেন(২৮) ।আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী একই এলাকার মোজাহার হোসেনের ছেলে রাশেদুল(৩০),ওসমান হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক(২৬),রাহেল মিয়ার ছেলে আব্দুস সামাদ(৪৮),আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আবু জাফর(৪২) এবং ওয়ায়েজ আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫২),আজাহারুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে মোক্তার হোসেন(৫৫)।
গ্রেফতারকৃত ০২জন হলেন-মাত্রাই এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সোহাগ হোসেন ও নৌকার কর্মী মইনুল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জয়পুরহাট-২(কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে নির্বাচন কালীন সময়ে সোহাগ ও তার বাবা আব্দুস সাত্তার মিলে নৌকার প্রার্থী হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা করেন এবং ভোটও দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সোহাগ তার মুরগির দোকান বন্ধ করে বাজার থেকে বাড়ীর দিকে যাবার সময় মাত্রাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছিলে বিদ্যালয়ের পিছন দিক থেকে এসে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর কর্মীরা একই এলাকার জাহিদ,রিপন ও সোহরাব,রাশেদুল, ওমর ফারুক,আবু জাফর,আব্দুস সামাদ ও তোফা মিয়াসহ ৮-১০ জন সোহাগকে এ্যালোপাতারিভাবে লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় হাঁসুয়ার কোপে সোহাগের পিট কেটে রক্তাক্ত জখম হয়।এবং সে মাটিতে পড়ে যায়। এ খবর পেয়ে নৌকার কর্মীরা মাত্রাই বাজারে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা করে ০৬ জন কর্মীকে গুরুতর জখম করে।
এ অবস্থায় বাজারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ০৭জনের মধ্যে ০১জনকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আর অন্য পক্ষের ০৬জনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।তাদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার লজিক বলেন,নৌকার কর্মীরা সবাই মিলে আমাদের ০৬জন কর্মীকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে এবং তিনটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে সাথে নিয়ে গেছে।আমরা ওদের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা করবো।
নৌকার কর্মী কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন,নৌকার কর্মীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা আগে হাঁসুয়ার কোপ মেরে জখম করেছে।ওরা সবাই মিলে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।ওদের বিরুদ্ধে আজ রাতেই মামলা করা হবে।
দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ০৭জন আহতের বিষয় নিশ্চিত করে কালাই থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন,এ ঘটনায় দুই পক্ষ-ই থানা এসে পৃথক দুটি মামলা করেন এবং দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।