এই ‘ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হবে’। ফ্লাইটের মধ্যেই এই ঘোষণা দিয়েছিলেন পাইলট। আর তা শুনেই ক্ষিপ্ত হন এক যাত্রী। একপর্যায়ে পাইলটের দিকে তেড়ে গিয়ে ঘুষিও মারলেন তাকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে। ফ্লাইটের ভেতরে পাইলটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেছে।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনার ভিডিও। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরালও হয়েছে সেটি। আজ সোমবার ১৫ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ওঠা-নামায় দেরি হচ্ছে। ফ্লাইট ডিউটির সময় পরিবর্তন হওয়ায় একপর্যায়ে পাইলটও পরিবর্তন হয়। নতুন পাইলট এসে ফ্লাইট আরও বিলম্ব হওয়ার কথা ঘোষণা করতেই হলুদ হুডি পরা এক ব্যক্তি উঠে গিয়ে পাইলটকে ঘুষি মারেন।
ফ্লাইটের একদম শেষ সারিতে বসেছিলেন ওই যাত্রী। পাইলট বিলম্বের কথা ঘোষণা করতেই তিনি নিজের আসন থেকে উঠে দৌড়ে বিমানের একদম সামনে যান এবং পাইলটকে ঘুষি মারেন। গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান সকলে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘বিমান চালানোর হলে চালাও, না হলে গেট খোল…’।
এদিকে এই ঘটনায় কেঁদে ফেলেন এক বিমানবালা। তিনি বলেন, ‘আপনি যা করলেন, তা ভুল। আপনি এটা করতে পারেন না।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ফ্লাইট ছাড়তে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার কারণে (এফডিটিএল- ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস) আগের ক্রু সদস্যের জায়গায় এসেছিলেন ওই পাইলট। অভিযুক্ত ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী এক ক্রু সদস্যের জায়গায় অন্য ক্রু সদস্য দায়িত্ব নেন। যদি কোনও কারণে ফ্লাইট ছাড়তে অতিরিক্ত দেরি হয় তবে ফ্লাইটে নিযুক্ত ক্রু সদস্যদের স্থানে অন্য ক্রু সদস্যরা নিযুক্ত হন। এর কারণ হলো- ডিউটি টাইম পেরিয়ে গেলে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন ক্রুরা।
মূলত তাদের শারীরিক অবস্থার কারণে ও ফ্লাইটের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ডিউটি টাইম পেরিয়ে গেলে অন্য ক্রু সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এফডিটিএল এর এই নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটি তত্ত্বাবধান করে করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। তবে ইন্ডিগোর ঠিক কোন ফ্লাইটে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যবহারকারীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ফ্লাইট উড়তে দেরি হলে পাইলট বা কেবিন ক্রুদের কিছু করার নেই। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। তিনি যেন আর কোনও দিন ফ্লাইটে না উঠতে পারেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।’
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনার ভিডিও। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরালও হয়েছে সেটি। আজ সোমবার ১৫ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ওঠা-নামায় দেরি হচ্ছে। ফ্লাইট ডিউটির সময় পরিবর্তন হওয়ায় একপর্যায়ে পাইলটও পরিবর্তন হয়। নতুন পাইলট এসে ফ্লাইট আরও বিলম্ব হওয়ার কথা ঘোষণা করতেই হলুদ হুডি পরা এক ব্যক্তি উঠে গিয়ে পাইলটকে ঘুষি মারেন।
ফ্লাইটের একদম শেষ সারিতে বসেছিলেন ওই যাত্রী। পাইলট বিলম্বের কথা ঘোষণা করতেই তিনি নিজের আসন থেকে উঠে দৌড়ে বিমানের একদম সামনে যান এবং পাইলটকে ঘুষি মারেন। গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান সকলে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘বিমান চালানোর হলে চালাও, না হলে গেট খোল…’।
এদিকে এই ঘটনায় কেঁদে ফেলেন এক বিমানবালা। তিনি বলেন, ‘আপনি যা করলেন, তা ভুল। আপনি এটা করতে পারেন না।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ফ্লাইট ছাড়তে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার কারণে (এফডিটিএল- ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস) আগের ক্রু সদস্যের জায়গায় এসেছিলেন ওই পাইলট। অভিযুক্ত ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী এক ক্রু সদস্যের জায়গায় অন্য ক্রু সদস্য দায়িত্ব নেন। যদি কোনও কারণে ফ্লাইট ছাড়তে অতিরিক্ত দেরি হয় তবে ফ্লাইটে নিযুক্ত ক্রু সদস্যদের স্থানে অন্য ক্রু সদস্যরা নিযুক্ত হন। এর কারণ হলো- ডিউটি টাইম পেরিয়ে গেলে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন ক্রুরা।
মূলত তাদের শারীরিক অবস্থার কারণে ও ফ্লাইটের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ডিউটি টাইম পেরিয়ে গেলে অন্য ক্রু সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এফডিটিএল এর এই নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটি তত্ত্বাবধান করে করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। তবে ইন্ডিগোর ঠিক কোন ফ্লাইটে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যবহারকারীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ফ্লাইট উড়তে দেরি হলে পাইলট বা কেবিন ক্রুদের কিছু করার নেই। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। তিনি যেন আর কোনও দিন ফ্লাইটে না উঠতে পারেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।’