এবার একসঙ্গে চার পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ায় আনন্দ বইছিল পরিবারে। কিন্তু মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো। আনন্দের পরিবর্তে মাতম বইছে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজনদের মাঝে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতক মারা গেছে।
গতকাল শনিবার ১৩ জানুয়ারি দুপুরে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে মৃত চার নবজাতককে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়। জানা যায়, চার নবজাতকের মা বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মদন রায়ের মেয়ে। তার স্বামী রাজন বিশ্বাসের (৩০) বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে তিনি। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী।
এদিকে বৈশাখী রায়ের ছোট ভাই সঞ্জয় রায় জানান, ২০১৯ সালে বৈশাখীর সঙ্গে রাজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী রায়। এবারই প্রথমবারের মতো বাবা-মা হন রাজন-বৈশাখী দম্পতি।
তিনি আরও জানান, সকালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে বৈশাখী। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী। নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৯টার দিকে চার নবজাতকে ঢাকার শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজনকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যত্র নেওয়া হয় তিন নবজাতককে। রাত ২টার দিকে এক জন মারা যায়, ভোর পর্যন্ত চারজনই মারা যায়।
এদিকে নবজাতকদের বাবা রাজন বিশ্বাস বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের চারটি সন্তান উপহার দিয়েও একদিনের ব্যবধানে সব কেড়ে নিয়ে গেল। এ কষ্টের কোনো শেষ নেই।’ তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে চার নবজাতককে সমাহিত করা হয়েছে। তার স্ত্রী (বৈশাখী) চিকিৎসাধীন।
এদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা জেবা জানান, শিশুদের জন্মের পর মা বেশ রুগ্ন ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মতো শক্তি তার ছিল না। গর্ভ ধারণের ২৬ সপ্তাহে বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম।
গতকাল শনিবার ১৩ জানুয়ারি দুপুরে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে মৃত চার নবজাতককে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়। জানা যায়, চার নবজাতকের মা বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মদন রায়ের মেয়ে। তার স্বামী রাজন বিশ্বাসের (৩০) বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে তিনি। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী।
এদিকে বৈশাখী রায়ের ছোট ভাই সঞ্জয় রায় জানান, ২০১৯ সালে বৈশাখীর সঙ্গে রাজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী রায়। এবারই প্রথমবারের মতো বাবা-মা হন রাজন-বৈশাখী দম্পতি।
তিনি আরও জানান, সকালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে বৈশাখী। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী। নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৯টার দিকে চার নবজাতকে ঢাকার শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজনকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যত্র নেওয়া হয় তিন নবজাতককে। রাত ২টার দিকে এক জন মারা যায়, ভোর পর্যন্ত চারজনই মারা যায়।
এদিকে নবজাতকদের বাবা রাজন বিশ্বাস বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের চারটি সন্তান উপহার দিয়েও একদিনের ব্যবধানে সব কেড়ে নিয়ে গেল। এ কষ্টের কোনো শেষ নেই।’ তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে চার নবজাতককে সমাহিত করা হয়েছে। তার স্ত্রী (বৈশাখী) চিকিৎসাধীন।
এদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা জেবা জানান, শিশুদের জন্মের পর মা বেশ রুগ্ন ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মতো শক্তি তার ছিল না। গর্ভ ধারণের ২৬ সপ্তাহে বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম।