মোঃ সাইমুন ইসলাম কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ মহিববুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী-মহিপুর- কুয়াকাটা শীর্ষক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ ঘোষনা করেছেন। এসময় দলীয় নেতা কর্মী সহ গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা অবগত রয়েছেন, ১১৪ পটুয়াখালী- ৪ আসনটি দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসনে মেগা প্রজেক্টসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি শুধু বিগত পাঁচটি বছর সরকারের এসব উন্নয়ন বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছি।
করোনাকালীন দূর্যোগেও আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবন-ঝুঁকির মধ্যে সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের সহায়তা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এই জনপদকে শান্তির জনপদে পরিণত করার চেষ্টায় সর্বাত্মক সচেষ্ট ছিলাম। আজ অবধি আপনাদের পাশে রয়েছি, থাকবো আজীবন।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানত কলাপাড়াকে জেলায় উন্নীত করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই ইশতেহারের কার্যক্রম শুরু করি। যে কাজটি করার জন্য আমি দুই যুগ আগে থেকে চেষ্টা করে আসছি। এরপরেই সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্যে মহিপুরকে উপজেলা এবং রাঙ্গাবালী সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছি। যা আমার অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্যে আমি এই জনপদের মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা বিধানে ইতিপূর্বে যেভাবে কাজ করেছি ভবিষ্যতে আবার নির্বাচিত হলে আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাবো।
আমি মূলত এই আসনের প্রতিটি জনপদকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেট, শালিসবাজ, মাদক ও ভূমিদস্যুমুক্ত শান্তিময় জনপদ গড়ে তোলার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে গেছি। যা করতে প্রায় শতভাগ সফল হয়েছি। আমি আপনাদের ও জনগণের পূর্ণ সহায়তা পেলে জনমানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি সফল হবো, ইনশাআল্লাহ। আমি এই ইশতেহারে খাদ্য ও কৃষিখাত, যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা, জননিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, ও বেকারত্ব দূরীকরণ, ধর্মীয় খাত, বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পর্যটন, বন ও পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির যেসব কর্মকান্ড বাস্তবায়ন অসমাপ্ত রয়েছে আগামী পাঁচ বছরে সে সব কাজ করবো।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচনী কেন্দ্রীয় ইশতেহারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের ১১ টি পরিকল্পনার কথা আমার ইশতেহারে তুলে ধরেছি। জননেত্রীর ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তাই শেখ হাসিনা’র স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আগামী ৭ জানুয়ারী আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সেবা করার সুযোগ দিলে এলাকার উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি শতাভাগ নিশ্চিত করবো – ইনশাআল্লাহ।