সারাবছর বেচাকেনার পর বছর শেষে বাকি টাকা তুলতে হালখাতার আয়োজন করে থাকে ছোট-বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের হালখাতার চিঠি দিয়ে অনুষ্ঠানের দিন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কুড়িগ্রামে ঘটেছে এক ব্যতিক্রম ঘটনা। পাওনা টাকা ফিরে পেতে এক স্কুল শিক্ষক হালখাতার আয়োজন করেছেন।
আর সেই শিক্ষকের নাম আব্দুল আউয়াল। তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এমএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পাওনা টাকা ফিরে পেতে তিনি দেনাদারদের কাছে হালখাতার চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ব্যতিক্রমী হালখাতার আয়োজন নিয়ে চলছে আলোচনা। চিঠিতে তিনি দেনাদারদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, আপনাদের টাকা হাওলাদ দিয়ে আমি আনন্দিত। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত হালখাতায় আপনি উপস্থিত হয়ে ঋণ পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত থাকুন। এই ঋণ পরিশোধের হালখাতায় ৩৫ জন দেনাদারকে চিঠি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। এসব মানুষের মাঝে বেশির ভাগই ওই শিক্ষকের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ কাছের মানুষজন।
এদিকে চিঠি পাওয়া কয়েকজন বলেন, আমরা হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও পরে বুঝতে পেরেছি ধারের টাকা ফেরত দিতে দেরি হয়েছে। আশা করছি হালখাতায় তার টাকা পরিশোধ করে দিব।
আব্দুল আউয়াল বলেন, তিন বছর যাবত বন্ধু বান্ধব ও নিকট স্বজনরা বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে টাকা ধার নেন। যাদের সঙ্গে প্রতিদিন একসঙ্গে উঠাবসা রয়েছে। লজ্জায় তাদের কাছে টাকা ফেরতও চাইতে পারি না তারাও দেওয়ার নাম করে না। পরে তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে হালখাতার ধারণা মাথায় আসে। এতে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হলো না আবার টাকাটাও পেয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, এ যাবত ৩৫ জনকে চিঠি দিয়েছি। এদের মধ্যে কেউ তিন বছর আগে টাকা নিয়েছে। সব মিলিয়ে আমার ৩ লাখ টাকার মতো ধার দেওয়া আছে। চিঠি পেয়ে অনেকে টাকা পরিশোধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
এদিকে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এরশাদুল হক ওই শিক্ষকের হালখাতার আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ওই শিক্ষককে চিনি। তার পাওনা টাকা উঠাতে তিনি এমন হালখাতার আয়োজন করেছেন।
আর সেই শিক্ষকের নাম আব্দুল আউয়াল। তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এমএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পাওনা টাকা ফিরে পেতে তিনি দেনাদারদের কাছে হালখাতার চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ব্যতিক্রমী হালখাতার আয়োজন নিয়ে চলছে আলোচনা। চিঠিতে তিনি দেনাদারদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, আপনাদের টাকা হাওলাদ দিয়ে আমি আনন্দিত। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত হালখাতায় আপনি উপস্থিত হয়ে ঋণ পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত থাকুন। এই ঋণ পরিশোধের হালখাতায় ৩৫ জন দেনাদারকে চিঠি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। এসব মানুষের মাঝে বেশির ভাগই ওই শিক্ষকের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ কাছের মানুষজন।
এদিকে চিঠি পাওয়া কয়েকজন বলেন, আমরা হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও পরে বুঝতে পেরেছি ধারের টাকা ফেরত দিতে দেরি হয়েছে। আশা করছি হালখাতায় তার টাকা পরিশোধ করে দিব।
আব্দুল আউয়াল বলেন, তিন বছর যাবত বন্ধু বান্ধব ও নিকট স্বজনরা বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে টাকা ধার নেন। যাদের সঙ্গে প্রতিদিন একসঙ্গে উঠাবসা রয়েছে। লজ্জায় তাদের কাছে টাকা ফেরতও চাইতে পারি না তারাও দেওয়ার নাম করে না। পরে তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে হালখাতার ধারণা মাথায় আসে। এতে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হলো না আবার টাকাটাও পেয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, এ যাবত ৩৫ জনকে চিঠি দিয়েছি। এদের মধ্যে কেউ তিন বছর আগে টাকা নিয়েছে। সব মিলিয়ে আমার ৩ লাখ টাকার মতো ধার দেওয়া আছে। চিঠি পেয়ে অনেকে টাকা পরিশোধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
এদিকে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এরশাদুল হক ওই শিক্ষকের হালখাতার আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ওই শিক্ষককে চিনি। তার পাওনা টাকা উঠাতে তিনি এমন হালখাতার আয়োজন করেছেন।