নিজস্ব প্রতিবেদক: `সত্য, সুন্দর ও সমৃদ্ধ আগামী গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নরসিংদী জেলা স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সমিতি (নকশিস)’আয়োজনে ‘বিজয় চিরন্তন’অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নরসিংদী ইন্ডিপেন্ডেন্ট কলেজ মিলনায়নে বিজয়ের মাসের শেষ লগ্নে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদদের স্মরণ করে এ ‘বিজয় চিরন্তন’অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে নকশিস নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান বঙ্গবন্ধু কৃষি শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া।
প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, স্বাধীনতা মানেই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়া, নিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকা, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা যদি আজ ৫২ বছরের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে আপনি এই মুহূর্তে যেকোন দেশে যান আপনাকে একটা সম্মানের সাথে দেখা হবে একটা সম্মানিত জাতি হিসেবে দেখা হবে। আর এর গোরা পত্তন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাই হচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এর জন্য আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় আজ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছে। বাংলাদেশের মত একটা ছোট রাষ্ট্রকে টেনে নিয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়। আজ আমরা অনেক কিছু নিয়ে অস্বীকার করতে পারি কিন্তু দেশের উন্নয়ন নিয়ে অস্বীকার করার মত সেই সুযোগ নেই। আজকে এদেশের মানুষ খাবারের অভাব করছে এমনটা কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। হয়তো বলতে পারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু খাবারের অভাব পড়েছে কারো সেটা কেউ বলতে পারবে না। বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। আমাদের এই স্বাধীনতা সারা পৃথিবীতে একটি স্মরণীয়। সময়ের মধ্যে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি ভঙ্গুর জাতিকে টেনে উপরে তুলে আনা সহজ সাধ্য বিষয় ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অসাধ্যকেই সাধন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মত নেতা এ দেশে ছিল বলেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেনে উপরে তুলে এনেছেন। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে দেশকে ট্রেনের তুলে দাঁড় করিয়েছেন একটি মজবুত ভীতের উপর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল সেই মহান নেতাকে দেশের স্বাধীনতায় যারা বিরোধিতা করেছে সেই পরাজিত শত্রুরা সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা তখনও দেশের স্বাধীনতা করে বিরোধিতা করেছিল এখনও বিরোধীতা করছে। দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এর মূল্যায়ন করলে আফসোস করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। আমরা হারিয়েছি এক মহান নেতাকে যিনি এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন, মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতেন, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা চিন্তা করতেন।
উপাচার্য বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু শিক্ষার গুণমানের উন্নয়ন হয়নি। একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কোন জাতি যদি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকে সে জাতি কোন ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে পারে না। শিক্ষার গুণগতমানের দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এদেশের শিক্ষার গুণগতমানের উন্নতি করতে হবে। আর গুণগতমানের শিক্ষা প্রয়োজন একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক।
প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, নরসিংদীতে ড. মশিউর রহমান মৃধা হাত ধরে নকশিস শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাই নরসিংদীতে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে নকশিস অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি নকশিসের নেতৃবৃন্দকে গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানাবো। যাতে করে শিক্ষা ক্ষেত্রে নরসিংদী নাম সবার উপরে উঠে আসে। এর জন্য আমি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
নকশিস’র সভাপতি নরসিংদী ইন্ডিপেন্ডেন্ট কলেজ’র অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা’র সভাপতিত্বে ‘বিজয় চিরন্তন ‘ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নরসিংদী জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলাম। এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নকশিস’র সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী সরকারী কলেজ’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও নকশিস’র প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর অহিভূষন চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ, শিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর,নকশিস’র সিনিয়র সহসভাপতি সোরহাব উদ্দিন, শফিকুল আলম বকুল, অধ্যক্ষ পরিষদ’র সভাপতি কামরুজ্জামান, নকশিস’র যুগ্ম সম্পাদক আরিফ পাঠান, নকশিস নেতা খোরশেদ আলম ও নবধারা শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন অনিক প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিতার কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে নকশিস নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান বঙ্গবন্ধু কৃষি শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া।
প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, স্বাধীনতা মানেই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়া, নিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকা, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা যদি আজ ৫২ বছরের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে আপনি এই মুহূর্তে যেকোন দেশে যান আপনাকে একটা সম্মানের সাথে দেখা হবে একটা সম্মানিত জাতি হিসেবে দেখা হবে। আর এর গোরা পত্তন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাই হচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এর জন্য আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় আজ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছে। বাংলাদেশের মত একটা ছোট রাষ্ট্রকে টেনে নিয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়। আজ আমরা অনেক কিছু নিয়ে অস্বীকার করতে পারি কিন্তু দেশের উন্নয়ন নিয়ে অস্বীকার করার মত সেই সুযোগ নেই। আজকে এদেশের মানুষ খাবারের অভাব করছে এমনটা কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। হয়তো বলতে পারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু খাবারের অভাব পড়েছে কারো সেটা কেউ বলতে পারবে না। বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। আমাদের এই স্বাধীনতা সারা পৃথিবীতে একটি স্মরণীয়। সময়ের মধ্যে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি ভঙ্গুর জাতিকে টেনে উপরে তুলে আনা সহজ সাধ্য বিষয় ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অসাধ্যকেই সাধন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মত নেতা এ দেশে ছিল বলেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেনে উপরে তুলে এনেছেন। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে দেশকে ট্রেনের তুলে দাঁড় করিয়েছেন একটি মজবুত ভীতের উপর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল সেই মহান নেতাকে দেশের স্বাধীনতায় যারা বিরোধিতা করেছে সেই পরাজিত শত্রুরা সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা তখনও দেশের স্বাধীনতা করে বিরোধিতা করেছিল এখনও বিরোধীতা করছে। দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এর মূল্যায়ন করলে আফসোস করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। আমরা হারিয়েছি এক মহান নেতাকে যিনি এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন, মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতেন, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা চিন্তা করতেন।
উপাচার্য বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু শিক্ষার গুণমানের উন্নয়ন হয়নি। একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কোন জাতি যদি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকে সে জাতি কোন ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে পারে না। শিক্ষার গুণগতমানের দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এদেশের শিক্ষার গুণগতমানের উন্নতি করতে হবে। আর গুণগতমানের শিক্ষা প্রয়োজন একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক।
প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, নরসিংদীতে ড. মশিউর রহমান মৃধা হাত ধরে নকশিস শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাই নরসিংদীতে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে নকশিস অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি নকশিসের নেতৃবৃন্দকে গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানাবো। যাতে করে শিক্ষা ক্ষেত্রে নরসিংদী নাম সবার উপরে উঠে আসে। এর জন্য আমি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
নকশিস’র সভাপতি নরসিংদী ইন্ডিপেন্ডেন্ট কলেজ’র অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা’র সভাপতিত্বে ‘বিজয় চিরন্তন ‘ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নরসিংদী জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলাম। এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নকশিস’র সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী সরকারী কলেজ’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও নকশিস’র প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর অহিভূষন চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ, শিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর,নকশিস’র সিনিয়র সহসভাপতি সোরহাব উদ্দিন, শফিকুল আলম বকুল, অধ্যক্ষ পরিষদ’র সভাপতি কামরুজ্জামান, নকশিস’র যুগ্ম সম্পাদক আরিফ পাঠান, নকশিস নেতা খোরশেদ আলম ও নবধারা শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন অনিক প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিতার কামনা করে দোয়া করা হয়।