প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ-কাহারোল উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে দিনাজপুর-১ নির্বাচনী আসনটি গঠিত। এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আটবার, বিএনপি একবার, জাতীয় পার্টি একবার ও জামায়াত নেতা একবার নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির আমলে একবার করে মোট দুবার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রচারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের প্রচারণা নেই। এ আসনের বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলাতেই প্রধান সড়ক, হাটবাজার, এবং চায়ের দোকান সব ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ব্যানারে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় সেখানে প্রার্থীর সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া দুপুর ২টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার মাইকে সরগরম হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা।
চারবারের সংসদ সদস্য বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল নৌকার লিফলেট নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার চ্যালেঞ্জ তার সামনে। বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা তার ট্রাক প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার প্রচারণায় প্রতিনিয়ত সময় পার করছেন। তিনিও দুই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে কুশল-বিনিময়ের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ট্রাক প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। পায়ে হেঁটে বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোট প্রার্থনাকালে এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সব সমস্যা সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের দূর্গ বীরগঞ্জ-কাহারোল আসনটি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা (ট্রাক) এই দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। এ আসনে আরও তিনটি প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), আব্দুল হক, ওয়ার্কার্স পাটির্ (হাতুড়ী), জহুরুল ইসলাম, ন্যাশনাল এনপিপি (আম)।
এ আসনে অন্য কোনো প্রার্থী ভোট-যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে দলীয় মনোনয়ন হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগেরই কিছু সংখ্যক নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন নৌকার মাঝি মনোরঞ্জন শীল গোপাল। সবমিলিয়ে ভোটের মাঠে নৌকার বিরুদ্ধে জমজমাট লড়াই চলছে ট্রাক প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে বাগযুদ্ধে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত (নৌকা মার্কার) প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই এলাকায় যে ধরনের উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত কোনো সরকারের আমলে হয়নি। তাছাড়া এই এলাকার তৃণমূল মানুষের সঙ্গে আমার সু- সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কার কোনো বিকল্প নেই। এবারও মনোনয়নপত্র পেয়েছি। আমি আশা রাখছি এবং আবারও বিপুল ভোটের নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবু হুসাইন বিপু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা একজন স্বচ্ছ মানুষ। তার কোনো দুর্নীতি নেই। অপরাধ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন। আমাদের আসনে আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা উপযুক্ত এমপি প্রার্থী। তিনি জনগণের দুঃখ-বেদনা বোঝেন। আমি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকাকে সমর্থন দিয়েছি। আপনারাও তাকে সমর্থন ও ভোট দেবেন।' এই আসনে এবার মোট ভোটার হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রচারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের প্রচারণা নেই। এ আসনের বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলাতেই প্রধান সড়ক, হাটবাজার, এবং চায়ের দোকান সব ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ব্যানারে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় সেখানে প্রার্থীর সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া দুপুর ২টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার মাইকে সরগরম হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা।
চারবারের সংসদ সদস্য বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল নৌকার লিফলেট নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার চ্যালেঞ্জ তার সামনে। বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা তার ট্রাক প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার প্রচারণায় প্রতিনিয়ত সময় পার করছেন। তিনিও দুই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে কুশল-বিনিময়ের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ট্রাক প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। পায়ে হেঁটে বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোট প্রার্থনাকালে এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সব সমস্যা সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের দূর্গ বীরগঞ্জ-কাহারোল আসনটি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা (ট্রাক) এই দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। এ আসনে আরও তিনটি প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), আব্দুল হক, ওয়ার্কার্স পাটির্ (হাতুড়ী), জহুরুল ইসলাম, ন্যাশনাল এনপিপি (আম)।
এ আসনে অন্য কোনো প্রার্থী ভোট-যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে দলীয় মনোনয়ন হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগেরই কিছু সংখ্যক নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন নৌকার মাঝি মনোরঞ্জন শীল গোপাল। সবমিলিয়ে ভোটের মাঠে নৌকার বিরুদ্ধে জমজমাট লড়াই চলছে ট্রাক প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে বাগযুদ্ধে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত (নৌকা মার্কার) প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই এলাকায় যে ধরনের উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত কোনো সরকারের আমলে হয়নি। তাছাড়া এই এলাকার তৃণমূল মানুষের সঙ্গে আমার সু- সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কার কোনো বিকল্প নেই। এবারও মনোনয়নপত্র পেয়েছি। আমি আশা রাখছি এবং আবারও বিপুল ভোটের নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবু হুসাইন বিপু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা একজন স্বচ্ছ মানুষ। তার কোনো দুর্নীতি নেই। অপরাধ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন। আমাদের আসনে আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা উপযুক্ত এমপি প্রার্থী। তিনি জনগণের দুঃখ-বেদনা বোঝেন। আমি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকাকে সমর্থন দিয়েছি। আপনারাও তাকে সমর্থন ও ভোট দেবেন।' এই আসনে এবার মোট ভোটার হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন।