দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এ পর্যন্ত ২০০ এর বেশি প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে। এর মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যও রয়েছেন। বারবার ইসির সতর্কবার্তাকে পাত্তা না দেওয়া প্রার্থী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলাও করতে যাচ্ছে কমিশন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে, এটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এরই মধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ২০২ জন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে। কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে। এর মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং প্রার্থীদের অনুসারীরাও রয়েছেন।
শুধু তলব বা কারণ দর্শানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তাদের মামলা কারারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এরইমধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাই, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে ইসির নির্দেশনায় করা মামলায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন ২০ দিন কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
এ ছাড়া বরগুনা-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে ইসির অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে আরও কঠের হচ্ছে ইসি। এরই মধ্যে অনেক প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ এবং সতর্ক করা হয়েছে। আইন অমান্য করে কেউ পার পাবে না। ক্রমান্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নির্বাচন কাজগুলো নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে সম্পাদন করেছে। বাকিটা ভোটের পর বোঝা যাবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এমন কঠোর অবস্থানে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং ব্যবস্থাও নিচ্ছেন। জনগণের উচিত হবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া এবং নিজেদের অধিকার অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগটা নেওয়া।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এরই মধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ২০২ জন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে। কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে। এর মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং প্রার্থীদের অনুসারীরাও রয়েছেন।
শুধু তলব বা কারণ দর্শানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তাদের মামলা কারারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এরইমধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাই, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে ইসির নির্দেশনায় করা মামলায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন ২০ দিন কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
এ ছাড়া বরগুনা-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে ইসির অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে আরও কঠের হচ্ছে ইসি। এরই মধ্যে অনেক প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ এবং সতর্ক করা হয়েছে। আইন অমান্য করে কেউ পার পাবে না। ক্রমান্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নির্বাচন কাজগুলো নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে সম্পাদন করেছে। বাকিটা ভোটের পর বোঝা যাবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এমন কঠোর অবস্থানে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং ব্যবস্থাও নিচ্ছেন। জনগণের উচিত হবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া এবং নিজেদের অধিকার অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগটা নেওয়া।