শাহাদাৎ হোসেন রাজু, নরসিংদী প্রতিনিধি : 'মাইরের ওপর ওষুধ নাই' বক্তব্য দেওয়া নরসিংদীর আলোচিত সেই ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল ইসলাম রিমন এর জামিন মুঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে হাই কোর্টের বিচারক হাবিবুল গণি ও আহম্মেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যাঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্ট্যার আদনান সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চলতি ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর নিন্ম আদালতে জামিন না হওয়ায় তার আইনজীবি হাই কোর্টের জামিন আবেদন করলে ২০ দিন কারাভোগের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও আহম্মেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যাঞ্চ তার জামিন মুঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর নরসিংদী ক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতিক) একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন তার বক্তব্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেটানোর হুমকি দেয়। মুহুর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেছেন, 'কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোন ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোন পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে হয়, হেইডা হেই দেখাইছে। হেরে আমরা হেমনেই পিডামো। এই শহরে, এই সদরের কোন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন জায়গা দেওয়া যাবে না। তারা নৌকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, তারা দেশ বিরোধী।'
তার এমন বক্তব্যে নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৩০ নভেম্বর রাতে নরসিংদী নির্বাচনী কর্মকর্তা সহকারী রিটানিং অফিসার ওমর ফারুক বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছেন আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদুর রহমান নাহিদ। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে তাকে দেওয়া নোটিশের নিদিষ্ট সময় পার হওয়ার পূর্বেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্ট্যার আদনান সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চলতি ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর নিন্ম আদালতে জামিন না হওয়ায় তার আইনজীবি হাই কোর্টের জামিন আবেদন করলে ২০ দিন কারাভোগের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও আহম্মেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যাঞ্চ তার জামিন মুঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর নরসিংদী ক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতিক) একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন তার বক্তব্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেটানোর হুমকি দেয়। মুহুর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেছেন, 'কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোন ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোন পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে হয়, হেইডা হেই দেখাইছে। হেরে আমরা হেমনেই পিডামো। এই শহরে, এই সদরের কোন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন জায়গা দেওয়া যাবে না। তারা নৌকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, তারা দেশ বিরোধী।'
তার এমন বক্তব্যে নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৩০ নভেম্বর রাতে নরসিংদী নির্বাচনী কর্মকর্তা সহকারী রিটানিং অফিসার ওমর ফারুক বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছেন আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদুর রহমান নাহিদ। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে তাকে দেওয়া নোটিশের নিদিষ্ট সময় পার হওয়ার পূর্বেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।