তুহিন ভূইয়া, নিজস্ব প্রতিনিধি: মামা হাফেজ মাওলানা কেরামত আলীর ৫টি এক টাকার নোট সযত্নে রাখতে গিয়ে টাকার প্রতি ভালোবাসা জন্মে। তার পর থেকে টাকা সংগ্রহের নেশা তৈরির হয় নিজের মাঝে। সেই থেকেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টাকা সংগ্রহ করে আসছেন। এখন পর্যন্ত ১৩০ দেশের মুদ্রা তার সংগ্রশালায় আছে। বলছিলাম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগর গ্রামের প্রয়াত হাফেজ আব্দুল ওহাব -আনোয়ারা বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান ফকরুল হাসানের কথা।
এলাকায় তিনি একজন সাহিত্যিক, লোক সংস্কৃতিক গবেষক ও সংগ্রাহক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৫ সালে মামা হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী ৫টি এক টাকার নোট সালামী দিয়েছেন। সেই টাকা গুলো তিনি প্রথমে তিনি সংগ্রহ করেছেন। তারপর থেকে তিনি বিলুপ্ত হওয়া প্রাচীন মুদ্রাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ডাক টিকেট, স্মারক, তামা-কাঁসা, কুপিবাতি, হারিকেন, পুরোনো দিনের টেলিফোন ইত্যাদি তিনি সংগ্রহ করে রেখেছেন।
তারপর থেকে প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ও হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত প্রায় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আসছেন। নিজের সংগ্রহে থাকার জিনিস জিনিসগুলো রাখতে, নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন মিনি মিউজিয়াম। নাম দিয়েছেন ‘সংগ্রহশালা’।
ফকরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা সংগ্রহশালা নিয়ে বলেন, টাকা সংগ্রহ করা আমার একটি শখ। আমি নিজের চাহিদার জন্য টাকা সংগ্রহ করছি না। আগামী প্রজন্মকে জানানোর জন্য আমার এই সংগ্রশালা। অদ্যাবধি পর্যন্ত ১৩০ দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করেছি। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, জার্মান, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের মুদ্রা আমার কাছে আছে। আমাদের বাংলাদেশে যেমন এক টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আছে তেমন অন্যান্য দেশের এক টাকা থেকে শেষ পর্যন্ত যেই টাকাটা আছে সেটাও আমি আমার সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করেছি। এই সবগুলো টাকাই আমার এ্যালবামে সযত্নে রাখা আছে।
তিনি জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে মুদ্রা সংগ্রহ শুরু করি। শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমি টাকা, ধাতব মুদ্রা, ডাকটিকিট, বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস সংগ্রহ করেছি। অনেকেই বলতেন এটা তোমার নতুন করে কিসের শখ জাগলো, আবার অনেকে উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিতেন। খুব সুন্দর, অসাধারণ তোমার চিন্তা-চেতনা। আমাকে উৎসাহ জোগানর পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে অন্যতম আমার বড় ভাই ড. আবদুল হাই সিদ্দিক।
সংগ্রশালার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, আমি যেন আমার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এই সংগ্রহশালায় বসে কাটাতে পারি। আমার শখের সংগ্রহের জিনিসগুলো দেখতে পারি এটাই আমার ইচ্ছা। একটা সময় আমি থাকব না। তবে এই সংগ্রহশালা যেন আজীবন বেঁচে থাকে। যেন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে এই দেশের ও দেশের বাইরের হারানো দিনের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে, বুঝতে পারে। তাহলেই এটা হবে আমার পরম পাওয়া।
মিনি মিউজিয়ার গড়ারে কারণ বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, আগেকার দিনে আমার বাবার একটি ঘর ছিল। সবার কাছে সেই ঘরটি ‘বাংলা ঘর’ নামেই পরিচিত। পরিবেশগত কারণে আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী যারা বেড়াতে আসতেন তাদের বাংলা ঘরেই বসানোর ব্যবস্থা করতেন। সেই থেকে আমার ইচ্ছা জাগলো আমার যে এতো সংগ্রহের জিনিস হচ্ছে এগুলো আমি কোথায় রাখব! কখনো ট্রাঙ্কের ভেতর রাখতাম, কখনো শোকেসে।
একসঙ্গে তো কোথাও থাকছে না। তখন থেকেই চিন্তা করলাম বাংলা ঘরটাকেই আমি সংগ্রহশালায় রূপান্তর করব। সেখানেই সংগ্রহের জিনিস সাজিয়ে রাখব। আমাদের আশেপাশে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা জাদুঘর সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না বা কখনো দেখেনি। তারা যেন আমার এখানে এসে অন্তত জানতে পারে ঐতিহাসিক এই জিনিসটি এখানে আছে, এই জিনিসটার নাম অমুক।
এলাকায় তিনি একজন সাহিত্যিক, লোক সংস্কৃতিক গবেষক ও সংগ্রাহক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৫ সালে মামা হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী ৫টি এক টাকার নোট সালামী দিয়েছেন। সেই টাকা গুলো তিনি প্রথমে তিনি সংগ্রহ করেছেন। তারপর থেকে তিনি বিলুপ্ত হওয়া প্রাচীন মুদ্রাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ডাক টিকেট, স্মারক, তামা-কাঁসা, কুপিবাতি, হারিকেন, পুরোনো দিনের টেলিফোন ইত্যাদি তিনি সংগ্রহ করে রেখেছেন।
তারপর থেকে প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ও হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত প্রায় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আসছেন। নিজের সংগ্রহে থাকার জিনিস জিনিসগুলো রাখতে, নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন মিনি মিউজিয়াম। নাম দিয়েছেন ‘সংগ্রহশালা’।
ফকরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা সংগ্রহশালা নিয়ে বলেন, টাকা সংগ্রহ করা আমার একটি শখ। আমি নিজের চাহিদার জন্য টাকা সংগ্রহ করছি না। আগামী প্রজন্মকে জানানোর জন্য আমার এই সংগ্রশালা। অদ্যাবধি পর্যন্ত ১৩০ দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করেছি। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, জার্মান, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের মুদ্রা আমার কাছে আছে। আমাদের বাংলাদেশে যেমন এক টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আছে তেমন অন্যান্য দেশের এক টাকা থেকে শেষ পর্যন্ত যেই টাকাটা আছে সেটাও আমি আমার সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করেছি। এই সবগুলো টাকাই আমার এ্যালবামে সযত্নে রাখা আছে।
তিনি জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে মুদ্রা সংগ্রহ শুরু করি। শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমি টাকা, ধাতব মুদ্রা, ডাকটিকিট, বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস সংগ্রহ করেছি। অনেকেই বলতেন এটা তোমার নতুন করে কিসের শখ জাগলো, আবার অনেকে উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিতেন। খুব সুন্দর, অসাধারণ তোমার চিন্তা-চেতনা। আমাকে উৎসাহ জোগানর পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে অন্যতম আমার বড় ভাই ড. আবদুল হাই সিদ্দিক।
সংগ্রশালার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, আমি যেন আমার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এই সংগ্রহশালায় বসে কাটাতে পারি। আমার শখের সংগ্রহের জিনিসগুলো দেখতে পারি এটাই আমার ইচ্ছা। একটা সময় আমি থাকব না। তবে এই সংগ্রহশালা যেন আজীবন বেঁচে থাকে। যেন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে এই দেশের ও দেশের বাইরের হারানো দিনের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে, বুঝতে পারে। তাহলেই এটা হবে আমার পরম পাওয়া।
মিনি মিউজিয়ার গড়ারে কারণ বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, আগেকার দিনে আমার বাবার একটি ঘর ছিল। সবার কাছে সেই ঘরটি ‘বাংলা ঘর’ নামেই পরিচিত। পরিবেশগত কারণে আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী যারা বেড়াতে আসতেন তাদের বাংলা ঘরেই বসানোর ব্যবস্থা করতেন। সেই থেকে আমার ইচ্ছা জাগলো আমার যে এতো সংগ্রহের জিনিস হচ্ছে এগুলো আমি কোথায় রাখব! কখনো ট্রাঙ্কের ভেতর রাখতাম, কখনো শোকেসে।
একসঙ্গে তো কোথাও থাকছে না। তখন থেকেই চিন্তা করলাম বাংলা ঘরটাকেই আমি সংগ্রহশালায় রূপান্তর করব। সেখানেই সংগ্রহের জিনিস সাজিয়ে রাখব। আমাদের আশেপাশে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা জাদুঘর সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না বা কখনো দেখেনি। তারা যেন আমার এখানে এসে অন্তত জানতে পারে ঐতিহাসিক এই জিনিসটি এখানে আছে, এই জিনিসটার নাম অমুক।