মিজানুর রহমান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। বড় ছেলে রিয়াদ হাসান ফাহিমের (৮) পরীক্ষা শেষ হওয়ায় বেড়ানোর জন্য গত ৩ ডিসেম্বর তাঁরা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন তার স্ত্রী সন্তানেরা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঢাকায় ফিরলেও বাসায় উঠা হলো না স্ত্রী নাদিরা আক্তার (৩২) ও ছেলে ইয়াছিন রহমানের (৩)।
নেত্রকোণা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন একই পরিবারের চারজন। বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি শেষে চলতে শুরু করে। এর পরপরই হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। আতঙ্কিত যাত্রীরা ভেতরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। তবে ট্রেনের চালক বুঝতেই পারেননি আগুন লেগেছে। ততক্ষণে তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেনটি এসে থামে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে সবাই নেমে পড়লেও চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের।
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে সারি করে রাখা নিহতদের লাশ। ছোট্ট ছেলে আর স্ত্রীকে হারিয়ে দিশাহারা মিজানুর কারো কাছে বিচারও দিতে চাইছেন না। সেখানেই ঝাপসা চোখে দূরে তাকিয়ে মিজানুর বললেন, ‘আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমার তো সবই শেষ হয়ে গেল। আমি কারো কাছে বিচার চাইব না।’মর্গে ছিলেন নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমানও। হাবিবুরকে সঙ্গে নিয়েই নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন নাদিরা ও তাঁর দুই ছেলে। হাবিবুর তাঁর বড় ভাগ্নেকে ট্রেন থেকে বের করতে পারলেও চোখের সামনে পুড়ে মরা যায় তাঁর বোন ও ছোট ভাগ্নে।
হাবিবুর বলেন, ‘নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে আমাদের বাড়ি। তেজগাঁও তেজতুরীবাজার এলাকায় থাকি আমরা। আমার বোন নাদিরার স্বামী মিজানুর কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। বড় ভাগ্নে রিয়াদ হাসান ফাহিমের (৮) পরীক্ষা শেষ হওয়ায় বেড়ানোর জন্য গত ৩ ডিসেম্বর তাঁরা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ভোরে বোন নাদিরা ও তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।’
হাবিবুর জানান, তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছার পর ট্রেনের পেছনের সিটে আগুন দেখতে পান তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে তিনি দৌড়ে ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে গেলেও নামতে পারেনি ভাগ্নে ইয়াছিন ও বোন নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই বের করতে পারেননি তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের মরদেহ বের করেন।
মিনহাজুর জানান, তার ভাই মিজানুর রহমান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যার সামগ্রীর ব্যবসা করেন। সোমবার গ্রামের বাড়ি থেকে অন্য স্বজনের সঙ্গে তারা ফিরছিলেন। তারা সবাই ছিলেন ‘জ’ কোচের যাত্রী। তাদের মধ্যে পপির বড় ছেলে মাহিন (৯) ও ভাই হাবিব ট্রেন থেকে নামতে পেরেছেন। পরে তারা লক্ষ্য করেন পপি ও ইয়াসিন নেই। তবে ততক্ষণে ট্রেনের ওই কোচটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফলে কিছুই করার ছিল না। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর চারজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দু’জন পপি ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন।
তিনি বলেন, লাশ দেখে বোঝা যায়, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত সন্তানকে বুকে আগলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভাবি। তবে অনেক লোকের হুড়োহুড়ির মধ্যে পারেননি। সন্তানকে বুকে নিয়েই জীবন্ত পুড়ে মারা যান।
নেত্রকোণা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন একই পরিবারের চারজন। বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি শেষে চলতে শুরু করে। এর পরপরই হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। আতঙ্কিত যাত্রীরা ভেতরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। তবে ট্রেনের চালক বুঝতেই পারেননি আগুন লেগেছে। ততক্ষণে তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেনটি এসে থামে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে সবাই নেমে পড়লেও চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের।
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে সারি করে রাখা নিহতদের লাশ। ছোট্ট ছেলে আর স্ত্রীকে হারিয়ে দিশাহারা মিজানুর কারো কাছে বিচারও দিতে চাইছেন না। সেখানেই ঝাপসা চোখে দূরে তাকিয়ে মিজানুর বললেন, ‘আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমার তো সবই শেষ হয়ে গেল। আমি কারো কাছে বিচার চাইব না।’মর্গে ছিলেন নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমানও। হাবিবুরকে সঙ্গে নিয়েই নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন নাদিরা ও তাঁর দুই ছেলে। হাবিবুর তাঁর বড় ভাগ্নেকে ট্রেন থেকে বের করতে পারলেও চোখের সামনে পুড়ে মরা যায় তাঁর বোন ও ছোট ভাগ্নে।
হাবিবুর বলেন, ‘নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে আমাদের বাড়ি। তেজগাঁও তেজতুরীবাজার এলাকায় থাকি আমরা। আমার বোন নাদিরার স্বামী মিজানুর কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। বড় ভাগ্নে রিয়াদ হাসান ফাহিমের (৮) পরীক্ষা শেষ হওয়ায় বেড়ানোর জন্য গত ৩ ডিসেম্বর তাঁরা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ভোরে বোন নাদিরা ও তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।’
হাবিবুর জানান, তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছার পর ট্রেনের পেছনের সিটে আগুন দেখতে পান তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে তিনি দৌড়ে ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে গেলেও নামতে পারেনি ভাগ্নে ইয়াছিন ও বোন নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই বের করতে পারেননি তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের মরদেহ বের করেন।
মিনহাজুর জানান, তার ভাই মিজানুর রহমান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যার সামগ্রীর ব্যবসা করেন। সোমবার গ্রামের বাড়ি থেকে অন্য স্বজনের সঙ্গে তারা ফিরছিলেন। তারা সবাই ছিলেন ‘জ’ কোচের যাত্রী। তাদের মধ্যে পপির বড় ছেলে মাহিন (৯) ও ভাই হাবিব ট্রেন থেকে নামতে পেরেছেন। পরে তারা লক্ষ্য করেন পপি ও ইয়াসিন নেই। তবে ততক্ষণে ট্রেনের ওই কোচটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফলে কিছুই করার ছিল না। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর চারজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দু’জন পপি ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন।
তিনি বলেন, লাশ দেখে বোঝা যায়, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত সন্তানকে বুকে আগলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভাবি। তবে অনেক লোকের হুড়োহুড়ির মধ্যে পারেননি। সন্তানকে বুকে নিয়েই জীবন্ত পুড়ে মারা যান।