নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। কারণ শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তার বিকল্প শুধু তিনি। বুধবার (১৭ মে) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত উদ্বোধনী ফলক স্থাপন ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে ৷
সমাবেশে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও প্রসারের লক্ষ্যে সরকার নতুন নতুন স্থলবন্দর গড়ে তুলছে। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মলিন মুখের পরিবর্তন করে সুন্দর হাসিমুখের চেহারা দিয়েছেন। এ সুন্দর পরিবর্তনকে ধরে রাখতে পারবে একমাত্র আওয়ামী লীগ, একমাত্র নৌকা, একমাত্র শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস রিজভী আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান আলী।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১.১৪ একর জমির ওপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫.১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরি ভবন, ব্যারাক ভবন, পাওয়ার হাউজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ক্রমাগত ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় ও নেতৃত্বে ২০০৯ সাল হতে নতুন বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসহ নৌপরিবহন খাতে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পরে হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত উদ্বোধনী ফলক স্থাপন করেন।