এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের বাসচাপায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল পারভেজ নিহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যেখানে সেলফি পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলের দাবি জানান তারা।
আজ শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে দ্রুত সেলফি বাসের রুট পারমিট বাতিল, রুবেল হত্যার বিচার, পরিবারের ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল পারভেজ মার্কেন্টাইল ব্যাংকে মানিকগঞ্জের ঝিটকা শাখায় কর্মরত ছিলেন। চাকরির পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪১ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের বন্দ্যেকাউলজানী গ্রামের মৃত মোকাদ্দছ আলীর ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসের জন্য ধামরাই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় সেলফি পরিবহনের একটি বাস অপর একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে থাকা রুবেল পারভেজসহ অপর এক পথচারীর ওপর তুলে দেন।
এতে ঘটনাস্থলেই রুবেল পারভেজ এবং হাসপাতালে নেয়ার পর অপর ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করে প্রধান ফটকের (ডেইরি গেট) সামনে রেখে দেন। আজ সকালেও ৫টি বাস আটকসহ মোট ২৫টি বাস আটকানো হয়েছে।
এদিকে মানববন্ধনে জাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্য আশিস কুমার মজুমদার বলেন, ‘সেলফি বাসের অধিকাংশ চালক অদক্ষ। তারা সবসময় রাস্তায় পাড়াপাড়ি করে। তাদের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। মাঝে মাঝেই তারা এমন দুর্ঘটনায় ঘটিয়ে থাকে।’
এ সময় যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সেলফি বাস পরিবহন কর্তৃপক্ষকে রুবেলের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ও যথাযথ ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও জোরালো পদক্ষেপ নিব।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মো. শাহাবুদ্দিন সেলফি পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।