এবার দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী ফায়ারফাইটার হলেন ১৫ জন। ২ হাজার ৭০৭ জনের মধ্য থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়েছেন মাত্র ১৫ জন। যাদের স্বপ্নপূরণ হয়েছে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখ। নিয়োগ শেষে পেয়েছেন তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ।
আজ বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ পাওয়া প্রথম ব্যাচের ১৫ নারী ফায়ারফাইটারের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ শেষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এ ফায়ারফাইটাররা জানালেন, স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তারা উচ্ছ্বসিত।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটার হিসেবে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন। এখন থেকে দুর্যোগ, দুর্ঘটনায় পুরুষের পাশাপাশি নারী ফায়ারফাইটারদেরও দেখা যাবে; জনগণের জানমাল রক্ষায়, অর্পিত দায়িত্ব পালনে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারফাইটার হিসেবে নারী সদস্যদের নিয়োগ এক মাইলফলক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের নারী ফায়ারফাইটাররা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দিতে সক্ষম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি, পুলিশ বা বিজিবি যেখানেই নারীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেখানেই সাহসিকতার সঙ্গে তারা ভালো কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া নারী ব্যাচের সদস্যরা আরও ভালো করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় বিপদগ্রস্ত নারীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদানে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে অকুতোভয় এ নারী ফায়ারফাইটারদের। তারা অগ্নিনির্বাপণসহ প্রতিটি দুর্যোগকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
চলতি বছরের ২০জুন দেশে প্রথমবারের মতো নারী ফায়ারফাইটার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর আগে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে মহিলা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও ফায়ারফাইটার পদে মহিলা প্রার্থীদের নিয়োগ এটিই প্রথম।
এদিকে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন: মোছা. মাজেদা খাতুন, পাপিয়া খাতুন, পিংকি রায়, মোছা. মাইমুনা আক্তার, রিমা খাতুন, মিস মেহেরুন্নেছা মিম, মোছা. আরজুমান আক্তার, মিশু আক্তার, ঝর্না রানী পাল, মোছা. কাকুলী খাতুন, ইসরাত জাহান, মোছাম্মৎ নাজমুন নাহার, মোসা. ইয়াসমীন খাতুন, মোছা. রুজিনা আকতার ও প্রিয়াংকা হালদার।