আজ সকালে সাভার ও ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুইজন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ও সাড়ে ৯টার দিকে মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের থানা স্ট্যান্ড ও সাভার হাইওয়ে থানার সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ধামরাইয়ে ২ জন ও সাভার হাইওয়ে থানার সামনে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার মোকছেদ আলীর ছেলে ও ৪১তম বিসিএস এ সুপারিশপ্রাপ্ত মো. রুবেল পারভেজ, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মধুপুর গ্রামের মোহাম্মদ খলিলের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (১৭)। আহত একজন হলেন, কসবা থানার মধুপুর গ্রামের মোহাম্মদ খলিল। তবে অপর আহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা স্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনজন। এসময় সেলফি পরিবহনের দুই বাস একে অপরকে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে পথচারী তিনজনকেই চাপা দেয়। এঘটনায় ঘটনাস্থলেই পারভেজ ও মান্নান মারা যায়। অপরজনকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা বলেন, আমাদের হাসপাতালে দুইজনকে আনা হয়েছিল। একজনের বয়স ৪০ আরেকজনের ৪২। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অপরজনকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
অপর দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার হাইওয়ে থানার সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছিলেন বাবা আব্দুল মালেক ও ছেলে ইসমাইল। এ সময় আরিচাগামী একটি কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ছেলে ইসমাইল। আব্দুল মালেক গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সাভারের এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল মালেক নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
এদিকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ আবুল হাসান বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেলফি পরিবহনের একটি বাস রেখে পালিয়ে গেছে এর চালক ও সহযোগী। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।