, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


কালাইয়ে তিনদিনের মাথায় বৃদ্ধের ভাগিনাসহ ৪ জন গ্রেফতার

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৩ ১০:৩০:২২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৩ ১০:৩০:২২ পূর্বাহ্ন
কালাইয়ে তিনদিনের মাথায় বৃদ্ধের ভাগিনাসহ ৪ জন গ্রেফতার
এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাইয়ে ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ সৈয়দ আলী আকন্দ হত্যার মূলহোতা আপন ছোট বোনের ছেলে বৃদ্ধের ভাগিনাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে লুট হওয়া জমির দলিল ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃদ্ধ খুন হওয়ার ৩ দিনের মাথায় গত রোববার রাতে তাদেরকে উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম। 

গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় একই গ্রামের বৃদ্ধ সৈয়দ আলী আকন্দকে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে খুন করে টাকা ও জমির দলিল লুট করে নিয়ে যায় গ্রেফতারকৃতরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধের হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামেন। এ ঘটনায় বৃদ্ধের মেঝো ছেলে নাজমুল হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
নিহত বৃদ্ধ সৈয়দ আলী আকন্দ উপজেলার শিকটা গ্রামের মৃত মাতরাজ আলী আকন্দের ছেলে। আর গ্রেফতারকৃতরা হলেন,নিহত বৃদ্ধের ছোট বোনের ছেলে আপন ভাগিনা শিকটা গ্রামের আকামুদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০), একই গ্রামের তালেব ফকিরের ছেলে গ্রাম্যপুলিশ সুজন মিয়া (২৩), মোবারক হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওয়াজেদুল (৩৫) এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৫)। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা টাকার লোভে বৃদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে বৃদ্ধের আপন ভাগিনাসহ চারজনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ভাগিনা হারুনুর রশিদ বৃদ্ধের মাথা ও ওয়াজেদুল পা চেপে ধরেছিল এবং গ্রাম্যপুলিশ সুজন বৃদ্ধের কণ্ঠ নালিতে ছুরিকাঘাত করে। বেশী রক্তক্ষরণের কারণে বৃদ্ধ মারা যায়। তাদের নিকট থেকে লুটকৃত জমির দলিল ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান,বৃদ্ধের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়। 

মামলার বাদী নাজমুল হাসান বলেন,বাবা জমি ক্রয়ের জন্য স্টিলের বাক্সে টাকা রেখেছিলেন। আমার ফুফুর ছেলে হারুন সবসময় বাবার কাছে যাতায়াত করতো। সে যে কখন ওই টাকা দেখেছে তা আমরা কেউ জানিনা। ওই টাকা নেয়ার জন্যই হারুন ওদেরকে সাথে নিয়ে এসে বাবাকে খুন করেছে। যা নিয়েছে তা সহ্য হতো কিন্তু বাবাকে কেন হত্যা করল।এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সর্বশেষ সংবাদ
ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা

ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা