রাজধানীতে আজ সকাল-সকালেই শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা দেখা যায়। বুধবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি। এদিকে বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ভিজে ভিজে কাউকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে দেখা গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশকিছু সড়কে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবার (১৭ মে) ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি চলতি মে মাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। এর পরিমাণ অবশ্য বেশি ছিল না, ৩ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে আজ। এটা এখন পর্যন্ত এ মাসের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রাজধানীতে। বৃষ্টির পর দুপুর ১২টার দিকে রোদ উঠতে শুরু করে। আজ আর বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই বলেই জানান এই আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ছয় ঘণ্টার ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এটি দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবার দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। সেই জেলাগুলো হলো রাজশাহী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি স্টেশন বাদ দিয়ে সবখানেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ১০০ মিলিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিনও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।