আজ শুক্রবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরল বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণে সিঙ্গাপুরকে কোণঠাসা করে রাখল পুরোটা সময়। আফিদা খন্দকার দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করে বড় অবদান রাখলে তহুরা খাতুন।
আজ শুক্রবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ২০১৭ সালে খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে ১২ ধাপ এগিয়ে। দলটিকে খেলার আগে বেশ সমীহই করা হচ্ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল বাংলাদেশ দক্ষতায় এগিয়ে অনেকখানি।
এদিন খেলার প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণে গিয়ে খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় সাইফুল বারী টিটোর দল। তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বল হেডে জালে জড়িয়ে দেন আফিদা। এই গোলের রেশ থাকতেই ব্যবধান বাড়ায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৬ মিনিটে তীব্র বেগে ছুটতে থাকা মারিয়া মান্ডার পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বল ঢুকান জালে জড়িয়ে দেন তহুরা।
এর আগে প্রথমার্ধে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে সিঙ্গাপুরকে কোণঠাসা করে রাখে বাংলাদেশ। তবে আর গোল আসেনি। বিরতির পর নেমেও বাংলাদেশের মেয়েরা ছিলো একই তালে। ৬০ মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। মনিকা চাকমার বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে টোকা মেরে তহুরা নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল এনে দেন। ৮৪ মিনিটে গোল পেতেই পারতেন সাবিনা খাতুন। বাম দিকের বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রি কিকে জোরালো শট বাধাগ্রস্ত হয় বারে লেগে।
এদিকে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লম্বা সময় খেলা ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। চলতি বছর কিছু ম্যাচ খেললেও আসেনি জয়, এবার তাই দীর্ঘদিন পর জয়ের মুখ দেখলেন সাবিনা খাতুনরা। সাফ জেতানো কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচ করা হয় সাইফুল বারী টিটোকে। তার অধীনে পাঁচ ম্যাচ খেলে তিনটা ড্র আর দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এই জয় তাই টিটোর জন্যও বিশেষ কিছু। আগামী সোমবার একই মাঠে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।