, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


দুদকের মামলায় সিভিল সার্জন ও ভান্ডার কর্মকর্তার দন্ড

  • আপলোড সময় : ৩০-১১-২০২৩ ০৫:১৩:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-১১-২০২৩ ০৫:১৩:১৮ অপরাহ্ন
দুদকের মামলায় সিভিল সার্জন ও ভান্ডার কর্মকর্তার দন্ড
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: সরকারী ওষুধ আত্মসাৎ ও বিক্রয়লব্ধ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুদকের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: মো: নাজমুল হক ভান্ডার কর্মকর্তা একে এম ফজলুল হক নামে দুই ব্যক্তির ৫ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থ দন্ড প্রদান করেছে আদালত। বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে  ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম দন্ডিত আসামী দ্বয়ের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত হলেন- সিলেট কানাইঘাট উপজেলার বীরদল বাজার গ্রামের বাসিন্দা মৃত: হাজি আরব আলীর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: মো: নাজমুল হক(৬৯) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইছাকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আজিজুল হকের ছেলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ষ্টোর অফিসার এ কে এম ফজলুল হক (৬২)।

মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে দুদক কুষ্টিয়ার কৌসুলি এ্যাড. আল মুজাহিদ মিঠু জানান, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্তৃব্যরত অবস্থায় ২০০৫ সালে ১টি এবং ২০০৬ সালে ৪টিসহ মোট ৫টি চাহিদা পত্রের অনুকুলে ঢাকাস্থ তেঁজগাওয়ের কেন্দ্রিয় ঔষধাগার হতে বরাদ্দ প্রাপ্ত ইউনিসেফ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুদানে প্রাপ্ত  ঔষুধ যার মূল্য ২২লক্ষ ৮০হাজার টাকা যা দুর্যোগকালীন ও আপদকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় অনুদান প্রাপ্ত ঔষুধ। 

অভিযুক্ত ব্যাক্তিদ্বয় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন  ঔষুধ গুদামে জমা না করে তা বিক্রয় করে পারষ্পরিক যোগসাজসে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করেন। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে অভিগোগের সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক মো: শহীদুল ইসলাম মোড়ল বাদি হয়ে জড়িত দুই জনের নামোল্লেক করে দ:বি: ৪০৯/১০৯ এবং ৪৭ সালে ২ নং আইনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ ধারায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে মর্মে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী এজাহার নামীয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ পরিচালক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলি এ্যাড. আলমুজাহিত হোসেন মিঠু বলেন, এমামলায় স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় সিভিল সার্জন ডা: মো: নাজমুল হক এবং স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হককে ৫ বছর করে করাদন্ড ও ২০হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে আর দুই মাসের সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত সেই সাথে আত্মসাতকৃত ঔষুধের মূল্যমানে দু’জনকে পৃথক ভাবে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর ও ৬মাসের কারাভোগের আদেশ দেন আদালত। যেহেত রায় ঘোষনার সময় আসামীদ্বয় পলাতক ছিলেন সে কারণে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বরাবর আসামীদ্বয়ের গ্রেফতার আদেশ প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।   
সর্বশেষ সংবাদ
ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা

ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা