সাফায়েত রহমান আবির, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোর গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্মিত হয়েছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এক বছর আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও এখনো হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। ফলে স্থানীয়দের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে অনত্র।
উপজেলার পৌর সভার নদীর পারের রাস্তার পাশে ৫২ শতক জমির উপর ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিবেশ খুব সুন্দর, পরিপাটি। দু’তলা ভবন, পাশে রয়েছে ডক্টর ডরমেটরি, আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সেবা, রয়েছে গভীর নলকূপ। চারিদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা প্রবেশ পথে রয়েছে নিরাপত্তা বিশিষ্ট বড় ফটক। ভিতরে রোগীর কক্ষ সাজানো নেই, নেই রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট কক্ষ ও অন্যান্য কক্ষগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না করায় স্থানীয়দের চিকিৎসা নিতে যে হচ্ছে জেলা শহর পটুয়াখালী কিংবা বরিশালে। তাই গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি উদ্বোধনের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ পরিচালক ডা.আ ফ ম আরাফাত হোসেন বলেন আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। আশা করি খুব শিগগিরই উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির প্রয়োজন তার চাহিদা পাঠানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব উদ্বোধন করা হবে।
তবে প্রাথমিক এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা বলেন, গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হাসপাতালটি উদ্বোধনের জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু সেটা হয়নি তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আশা করছি চলতি মাসেই সাধারণ রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি চালু করা হবে।