এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: বাজারে আলুর দাম কমছে না,বরং বাড়ছে।আর এরই মধ্যে অধিক লাভের আশায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় কমবেশি আগাম আলু চাষে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।উপজেলায় এখনও আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ না হলেও অধিক লাভের আশায় চাষিরা তাদের সবজি আবাদি জমিগুলো ফেলে না রেখে মনের আনন্দে আলু চাষ শুরু করে দিয়েছেন।তবে দাম ও ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রান্তিক কৃষকসহ আলু চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন,অন্য বছরের চেয়ে এবছর আলু চাষে বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।কারণ হিসেবে কৃষি উপকরণসহ শ্রমিকের পাশাপাশি জমি লিজ ও সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কথা বলেছেন।এতে,এবছর আলু চাষে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।গতবছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছর কালাই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে।তবে গতবছর ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল।কৃষি অফিস বলছে,অন্য বছরের চেয়ে এ বছর আলু চাষের খরচ কিছুটা বাড়লেও প্রতি বিঘায় এ বছর আলু চাষে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার তেলিহার গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,এবছর ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তিনি আলু চাষ করছেন।সার কিনতে গিয়ে ডিলারদের দোকানে অনেক ঘুরেও সরকারি মূল্যে সার না পেয়ে বাধ্য হয়েই বেশি দামে সার কিনে আলু চাষ করতে হচ্ছে।ফলে প্রতি বিঘায় খরচ পড়বে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।তবুও তিনি অধিক লাভের আশায় আলু রোপণে ব্যস্ত।
উপজেলার মোসলেমগঞ্জ গ্রামের আলু চাষি খায়রুল ইসলাম বলেন, এবছর ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছেন,প্রতি বিঘায় তার খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তিনি বলেন,সার,কিটনাশক,
বীজের দাম,জমি চাষের খরচ,শ্রমিকের মূল্য এবং সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর আলু চাষের খরচ অন্য বছরের চেয়ে বেড়েছে অনেক বেশি।ফলন ও দাম বেশি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন,জমি লিজের খরচসহ এবছর প্রতি বিঘায় আলু চাষে কৃষকের সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।অন্য বছরের চেয়ে এবছর খরচ একটু বেশি হলেও আশা করা হচ্ছে ফলন ও দামে কৃষকের পুষিয়ে যাবে।কৃষকরা যাতে আলুর ভালো ফলন পান, তারজন্য কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হচ্ছে।