, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ , ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভোটের আগে দিল্লি সফরের কারণ জানালেন পররাষ্ট্রসচিব

  • আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৩ ০৮:০৬:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৩ ০৮:০৬:২০ অপরাহ্ন
ভোটের আগে দিল্লি সফরের কারণ জানালেন পররাষ্ট্রসচিব ফাইল ছবি
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দুই পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠকের পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থিত ৯০টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত, যারা সেখান থেকে বাংলাদেশের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত, ঢাকার অগগ্রতি সম্পর্কে তাদের জানাবেন পররাষ্ট্র সচিব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এটি রুটিন মোকানিজম। এখানে দুই দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন বলে তিনি জানান।

অগ্রাধিকার বিষয়গুলো হচ্ছে- রাজনৈতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কানেক্টিভিটি বিষয়, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অভিন্ন নদী সম্পর্কিত বিষয়, আঞ্চলিক ও উপ- আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়, উন্নয়ন ও প্রকল্প সহায়তা এবং কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা অন্যতম বলে তিনি জানান।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কোনও বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও বার্তা নিয়ে যাওয়া, বা এ সংক্রান্ত কিছু আমাদের এজেন্ডায় নেই।

পররাষ্ট্র সচিবের ভারত সফরের সময়ে কোনও লুকানো (গোপন) উদ্দেশ্য নেই বলে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ রকম মনে করার কারণ নেই যে, এখানে লুকানো উদ্দেশ্য আছে। তবে যেহেতু সামনে নির্বাচন এবং তাদের পক্ষ থেকে যদি কিছু জানার থাকে, তবে সেটি আমি তাদের অবহিত করতে পারবো।

নির্বাচনের আগে কেন এই বৈঠক, এ বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক, যেমন- বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, ভিসা, এগুলো যাতে মসৃণভাবে চলে এবং নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারে, সেটাই হয়তো আলোচনায় আসবে।

তিনি বলেন, আপনারা জল্পনা-কল্পনা করতে পারেন। কিন্তু আমি যেভাবে বলেছি, সেখাবেই এজেন্ডা তৈরি হয়েছে। সুতরাং, প্রধানত গত ১০ মাসে প্রচুর অগগ্রতি হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা এবং নির্বাচনের পরে বা আগামী বছরে কোন কোন জায়গায় আরও বেশি কাজ করতে পারি, সে জায়গা ঠিক করা- যাতে করে সময় নষ্ট না হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে ঢাকায় ফরেন অফিস কনসালটেশন হয়েছে। সাধারণত বছরে একবার ফরেন অফিস কনসালটেশন হলেও বিশেষ প্রয়োজনে একাধিকবার হতে পারে।
সর্বশেষ সংবাদ
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের

সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের