, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ , ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


অবরোধে কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায় ধস, শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ

  • আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৩ ০৩:২১:১৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৩ ০৫:২৫:৩৪ অপরাহ্ন
অবরোধে কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায় ধস, শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ
মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ চকরিয়া প্রতিনিধি: বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের প্রভাবে কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।একমাস ধরে লোকসান গুনছেন কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, গেস্ট-হাউস ও রেস্টুরেন্ট মালিকেরা। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লাভের মুখ দেখতে না পারায় হতাশ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট-হাউস ও দেড় শতাধিক রেস্টুরেন্ট। কিন্তু দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কক্সবাজার এখন পর্যটক-শূন্য। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই ও হোটেল, মোটেল, গেস্ট-হাউসগুলো বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায় লোকসানের মাত্রা বহু গুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

হোটেল রেন ভিউ’র পরিচালক মুকিম খান বলেন,“টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটক রাজধানী কক্সবাজারে এখন পর্যটক-শূন্য। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই ও হোটেল, মোটেল, গেস্ট-হাউসগুলো বন্ধ হতে বসেছে। ইতিমধ্যে আমাদের কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

আল মদিনা হোটেলের মালিক আলমগীর বলেন, “হরতাল অবরোধের প্রভাবে পর্যটক নেই।পর্যটক না থাকায় আমাদের খাবার হোটেলে বেচাকেনা না থাকায় কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছি না।দোকান ভাড়াও বেশি। তাই দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। নভেম্বর থেকে পর্যটক মৌসুম শুরু। বছরের মধ্যে ৩মাস ব্যবসা হয়।”

আরিফ নামে এক খাবার রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, “টানা হরতাল-অবরোধে বিপর্যস্ত পর্যটন খাত,বন্ধ রেখেও ক্ষতি রোধ করা যাচ্ছেনা। এভাবেই চলতে থাকলে চেয়ার-টেবিল বিক্রির ছাড়া উপায় নেই।”

তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, “হরতাল ও অবরোধের কারণে বুকিং শূন্য। যে-সব পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়েছিল তারাও বাতিল করছেন। ”

টানা হরতাল-অবরোধের কারণে জেলার পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ফাঁকা বলে জানালেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট-হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ।

তিনি বলেন, টানা হরতাল-অবরোধের প্রভাবে পর্যটক শূন্য। ইতিমধ্যে অনেক রেস্তোরাঁ খরচ পোষাতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে। এই পর্যন্ত আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হাজার কোটি টাকা।

কক্সবাজার চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ বলেন,দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কক্সবাজার এখন পর্যটক-শূন্য। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পর্যটক খাতে।
বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ: মিজানুর রহমান আজহারী

বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ: মিজানুর রহমান আজহারী