, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


লাইভে মদকে হালাল ব্যবসা বললেন উপজেলা চেয়ারম্যান

  • আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৩ ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৩ ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন
লাইভে মদকে হালাল ব্যবসা বললেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক লাইভে এসে মদকে মেডিসিনের সঙ্গে তুলনা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া  সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। এ সময় তিনি মদকে হালাল ব্যবসা বলেও মন্তব্য করেন।  সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া লাইভে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) থেকে সমালোচনার ঝড় বইছে। ওলিও ছিলেন পাঁচবারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

ফেসবুক লাইভে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, এটা (মদ) মেডিসিন হিসেবে খায়, তোমাকে (প্রশ্নকারী) ব্যবস্থা করে দেবো, যদি ডাক্তার বলে। আমরা তো বলতে চাই না, আমরা তো ঘুস খাই না। আমরা তো শুনি, মানুষের মনে কষ্ট দেই না। এসব নিয়ে বলতে চাই না।

ফিরোজুর রহমান আরও বলেন, সরকারকে জিজ্ঞাসা করেন লাইসেন্স কেন দেয়। তোমাদের সরকারই তো দিচ্ছে, ২০-৩০ বছরের ভেতরে কেউ দেয়নি। আমাদের সরকার এসেই তো লাইসেন্স দিয়ে ভরিয়ে ফেলছে দেখলাম। আমার ম্যানেজাররাও কোটি টাকা চুরি করে তিন-চারটি করে মদের বার দিয়েছে। যদিও আমি এখন এ ব্যবসায় নেই। আমার সন্তানরা থাকা মানেই আমি থাকা, এটা কোনো ব্যাপার না। ব্যবসা আমার পবিত্র ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। ইসলামের বিধান আছে তুমি যেটার কথা বলছো (মদের ব্যবসা) এটার জন্য যদি ১০টা বেত মারে, ব্যাংকের ব্যবসার জন্য মারবে ১০০টা বেত। কিন্তু ব্যাংকের ব্যবসা নিয়ে কিছু কয় না। আমি হালাল ব্যবসা করি, এসব সরকার বুঝবে। হালাল না হলে কী সরকার ব্যবসা করে! নাহলে সরকারই তো বেহাল হয়ে যাবে। এই ব্যবসা নিয়ে ইসলাম কী বলে তা সরকার বুঝবে।

এদিকে তার এসব মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা নেন।


 
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’