এবার নিজেদের মাঠে চলমান বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারত। এখন পর্যন্ত ৯ দলের কেউই তাদের হারাতে পারেনি। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ড তাদের সঙ্গে দুবার খেলেও সফলতা পায়নি। সর্বশেষ সেমিফাইনালে ভারতের প্রায় চারশ ছোঁয়া লক্ষ্য তাড়ায় ৭০ রানে হেরেছে কিউইরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও, এরপর টানা ৮ ম্যাচ জিতেছে।
এর আগে থেকেই স্বাগতিক ভারতের দুর্বলতা খোঁজার চেষ্টা করছে প্যাট কামিন্সের অজি বাহিনী। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার মাধ্যমে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে। এদিন অজি পেসার জশ হ্যাজলউড ৮ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে শিকার করেন ২ উইকেট।
এর আগে তিনি গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকেও চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। পরে যদিও বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের বড় পার্টনারশিপে ভর করে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় রোহিত শর্মার দল। প্রোটিয়াদের সঙ্গে সেমিফাইনাল শেষে বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ ভারত নিয়ে কথা বলেছেন হ্যাজলউড। ৩২ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা (ভারত) টুর্নামেন্টে অপরাজিত হলেও কিছু খুঁত রয়েছে এবং আমাদের দল জানে কোন পদ্ধতিতে এগোতে হবে রোববার (ফাইনাল)।’
এরপর ভারতের বিশ্বকাপ ফর্ম নিয়ে তিনি জানান, ‘সত্যি বলতে গেলে ওরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। সবার থেকে ওরা অনেকটাই এগিয়ে। ওদের প্রতিটা বিভাগই এখন ভালো পারফর্ম করছে। তবে চেন্নাইতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওদের কিছু খুঁত আমরা লক্ষ্য করেছিলাম। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে ছোট লক্ষ্য দিয়েও ওদের (গ্রুপ পর্ব) দ্রুত উইকেট তুলতে পেরেছিলাম। যদিও ওরা ম্যাচটা জিতেছে তবে ওদের কিছু বিশেষ খুঁত আমরা লক্ষ্য করেছি। তবে সেগুলি বড়সড়ো কোনো দুর্বলতা নয়।’
এদিকে ম্যাচের শুরুর দিকেই উইকেট তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে হ্যাজলউড বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টুর্নামেন্টে যত এগোচ্ছে, তত এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। দ্বিতীয় অর্ধে বোলিং করলে আমরা নতুন বলে বেশ ভালই চাপে রাখছি বিপক্ষ দলকে, প্রথমে বল করার চেয়েও। এগুলো নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং এটার ওপরেই আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। এজন্য আমরা জানি পরবর্তী ম্যাচে আমাদের কোন রাস্তায় এবং কী পদ্ধতিতে এগোতে হবে।’
ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে ভিন্ন ভিন্ন পিচে খেলা নিয়েও বেশ ইতিবাচক এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার, ‘এটাই তো সৌন্দর্য একটা দেশের, যাদের অজস্র ক্রিকেট মাঠ রয়েছে এবং পিচগুলোও নানা রকমের। যেখানে আমাদের নিজেদের মতো করে খেলতে হয়, নিজেদের মতো করে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হয়। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন পিচ পেয়েছিলাম, আশা করছি তেমনই একটি পিচ পাব (ফাইনালে)।’