, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


গাজায় দাফনও করা যাচ্ছে না মরদেহ!

  • আপলোড সময় : ১৩-১১-২০২৩ ০৯:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১১-২০২৩ ০৯:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন
গাজায় দাফনও করা যাচ্ছে না মরদেহ!
এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালগুলোতে বড় ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। দফায় দফায় চালানো বিমান হামলায় উপত্যকাটির বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের কার্ডিয়াক ওয়ার্ড ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মারা যাচ্ছে ইনকিউবেটরে থাকা নবজাতকরাও। এমনকি ইসরাইলি অভিযানের মুখে হাসপাতালটিতে থাকা একশর বেশি মরদেহের দাফনও করা যাচ্ছে না।
 
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকোত বলেন, ‘এখানকার হাসপাতালগুলোয় এক ফোঁটা জ্বালানিও ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আল-শিফা হাসপাতাল নিরাপদ নয়। সেখানে মরদেহর কাছে পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে না।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অপরিণত দুই নবজাতকও রয়েছে। এ হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে উপত্যকাটির প্রধান দুটি হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় এরকম মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।’
 
এদিকে, হামাস হাসপাতালের জন্য ইসরাইলের জ্বালানি নিতে চায় না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে সংগঠনটি বলছে, তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না যে, এ ইস্যুতে তেল আবিবের সঙ্গে আলোচনা করবে। এমনকি যে পরিমাণ জ্বালানি ইসরাইল দিতে চায়, তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট হাসপাতালের কার্যক্রম চলবে বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি।
 
অন্যদিকে, গাজার হাসপাতালগুলোতে হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরাইল। যদিও এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে হামাস। রোববারও দিনভর গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। চলমান এ সংঘাতে অব্যাহত হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাঁড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’