এবার ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবের মধ্যেও লবণের মাঠে কাজ করতে গিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালিতে তিন লবন চাষীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদুয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মো. নেছার (৩২) এবং বারঘর পাড়ার মতনের ছেলে মো. আনছার (৩৬)।
এদিকে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্নিঝড় মোখার সময় রবিবার ১৪ মে বারঘর পাড়ার পশ্চিমের লবণের মাঠে কাজ করতে গিয়ে ঠান্ডা জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছে। এছাড়া রাতে লবণ মাঠের পানিতে ভাসমান অস্থায় দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে লোকজন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রবিবার সকালে মাঠে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বাতাস আর বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠাণ্ডায় ৬ থেকে ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিকাল সাড়ে ৪টায় রিদুওয়ান(৩৫) কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আর বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
অনেক শ্রমিক রাত হলেও বাড়িতে না ফেরায় তাদেরকে খুঁজতে স্বজনরা লবণ মাঠে গিয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় ভাসমান অবস্থায় মুহাম্মদ নেছারকে এবং লবণ মাঠের অপর প্রান্ত থেকে রাত ১২ টার দিকে মোহাম্মদ আনসার নামের আরেক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এসময় সোনা মিয়া নামের আরেক চাষীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশখালি থানার ওসি প্রণব চাকমা বলেন, লোকমুখে তিন জনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। তারপরও আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়া নিখোঁজের ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু এখনো জানায়নি।
এদিকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, তিন জনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ জন লবণ চাষী এখনো ঘরে ফেরেনি।