এবার বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলনের প্রথম অর্ধেক দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়েই কথা হয়েছে। হওয়ারই কথা, দিল্লির পরিস্থিতি এমন যে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সোমবারের ম্যাচটা হবে কি না, সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কেউ। ভারতের রাজধানী শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে গত শুক্রবার দুই দলই অনুশীলন বাতিল করেছে।
শনিবারও শ্রীলঙ্কা দল মাঠে যায়নি, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা মাস্ক পরে নেমেছিলেন ফিরোজ শাহ কোটলায়। আজও ব্যাটিং বা বোলিং অনুশীলন করছেন না, এমন ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমেই ছিলেন। কোনো স্থানের বাতাসে দূষণ কত বেশি সেটা বাতাসের মান ইনডেক্স বা একিউআই দিয়ে জানা যায়। আইসিসির নিয়মানুযায়ী ২০০-এর নিচে একিউআই হলে, সেটাকে খেলার জন্য নিরাপদ ধরা হয়।
আজ রবিবার সকালে দিল্লির একিউআই ছিল ৪৫৭। গত বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লির একিউআই ৪০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে ছিল। এবং আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনটাই থাকার কথা। গত বৃহস্পতিবার দূষণের কারণে স্কুল দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইসিসি অবশ্য বলছে, ম্যাচ পরিত্যাক্ত হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত বাতাসের মান দেখে ম্যাচের দিন ম্যাচ অফিশিয়ালরাই নেবেন।
এদিকে আইসিসির আইনের ২.৮ ধারায় বলা আছে, ‘যখনই আম্পায়াররা সিদ্ধান্তে পৌছাবেন মাঠ, আবহাওয়া বা আলোর অবস্থা বা অন্য যেকোনো কিছু বিপদজনক বা অগ্রহণযোগ্য মনে হয়, তারা সাথে সাথে খেলা থামিয়ে দিতে বা একেবারেই বন্ধ করে দিতে পারবে। কন্ডিশন যদি এতটাই খারাপ হয় যে আম্পায়ারকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে তা করতে পারবে।’
অবশ্য দিল্লির এমন দূষণেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। ২০১৭ সালে মাস্ক পরে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। মাঠে বমি করার ঘটনাও ঘটেছিল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ মাস্ক পরে নেমেছিল এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।