এবার সরকারপতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির আজ শনিবারের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে যোগ দিতে দলটির নেতাকর্মীরা গতকাল রাত থেকেই জমায়েত হন। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের সেই জমায়েতে দেখা গেছে এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতার নাম মশিউর রহমান শিমুল। তিনি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি পদপ্রত্যাশী।
এ ছাড়াও তিনি পটুয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তবে ওই যুবলীগ নেতার দাবি, নয়াপল্টনে একটি হাসপাতালে তার নানা চিকিৎসাধীন। তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের জমায়েতে শিমুলের উপস্থিত থাকার একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সম্প্রচারিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভে শিমুলকে দেখা যায়। এ সময় শিমুল বিএনপির নেতাকর্মীদের স্লোগানসংবলিত কর্মসূচি ভিডিও করছিলেন।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, শিমুল যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। এমনকি তার বাবা মো. নাসির হাওলাদার রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা শিমুল বলেন, ‘আমার নানা খুবই অসুস্থ। তিনি বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে বিএনপির মিছিলটি সামনে পড়ে। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও বাজে স্লোগান দিচ্ছিল। প্রমাণ রাখতে মিছিলের ভিডিও করেছি।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং সে (শিমুল) যদি বিএনপির মহাসমাবেশে গিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান খান মামুন বলেন, ঘটনাটি সত্যি হয়ে থাকলে তা খুব দুঃখজনক। এক সময় তার বাবা যুবদল করত এবং তার পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ বিষয়টি আমাদের দলীয় সভায় আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দকেও অবহিত করব।