মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি ‘দ্রুত, নিরাপদ ও স্থায়ী’ প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে দেখা করার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে ভূমিকম্প প্রস্তুতিতে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইইউ-কে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি রোহিঙ্গাদের উদার আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ সময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।