এবার বর্বরোচিত ইসরায়েলি বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু। গত ৭ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের নির্বিচার এই হামলা যেকোন সময় যেকোন স্থানে হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, জাতিসংঘের স্কুলসহ যেকোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও।
এদিকে বিরামহীন এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। যাদের অনেকেরই দেহ ক্ষতবিক্ষত বা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এতে লাশের স্তুপ থেকে প্রিয় সন্তানকে খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হচ্ছে অনেককে।
তাই এবার সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আতঁকে উঠার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন গাজার অনেকে বাবা-মায়েরা। সন্তানদের হাতে-পায়ে বা পেটে সন্তানদের নাম লিখে রাখছেন বাবা-মায়েরা। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট। রাতভর হামলায় সেন্ট্রাল গাজার আল-আকসা মারটায়ার্স হাসপাতালের মর্গ ভরে গেছে লাশে।
সেই খানে দেখা যায় চারটি শিশুর হাতে আরবিতে তাদের নাম লেখা রয়েছে। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির আল শিফা হাসপাতালের পরিবেশ স্বজনহারা, আহত মানুষের আহাজারি আর কান্নায় ভারী হয়ে গেছে। এই শোকার্ত পরিবেশে আবু আল সাবা নামের এক মা তার সন্তানদের হাতে নাম লিখে দেন।
তিনি বলেন, `আমরা হাতে আমার নাম লিখে রাখছি; বাচ্চাদের হাতেও তাদের নাম লিখে দিয়েছি; দখলদারদের (ইসরায়েলি) বিমান হামলায় মারা পড়লে যেন আমাদের লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়।` আল সাবা একা নন, তার মতো অসংখ্য ফিলিস্তিনি বিশেষ করে সন্তানদের হাতে বা পায়ে তাদের নাম লিখে রাখছেন। তাদের কারো কারো আশঙ্কা সত্যিও হচ্ছে।