গতকাল কিশোরগঞ্জে ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, 'জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল সোমবার ২৩ অক্টোবর রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এই তথ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতাল ও নিকটবর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জরুরিভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ১৭ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার (ভৈরব ) নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে ছিল প্রায় ১৫ জন চিকিৎসক এবং নার্স, এসএসিমো, স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপি ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী। সেই সঙ্গে দশটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক রোগীকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ৪০ জন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের সাথে অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী কাজ করছে।
এদিকে ডা. মঈনুল আহসান জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে অতিরিক্ত ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাকর্মী পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী হাসপাতাল থেকে দেয়া হয় ও প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে আনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭৫ জন রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় যাদের মাঝে ২২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতাল ও নিকটবর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জরুরিভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেহেতু গুরুতর রোগী ঢাকায় আসবে সে জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নিটর ও নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং আগত রোগীকে জরুরিভাবে সেবা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।