তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। আজ রবিবার রাজধানীর পল্টনে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দেন তিনি।
শ্রমিকপক্ষের প্রস্তাবের বিপরীতে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নূন্যতম মজুরি মাত্র ২ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
দুই পক্ষের প্রস্তাব গ্রহনের পর নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা উপস্থিত দুই পক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শ্রমিক পক্ষ চাচ্ছেন ২০ হাজার আর মালিক পক্ষ বলছেন ১০ হাজার ৪০০ টাকা।
দুই পক্ষের প্রস্তাবনায় বেশ ফাঁরাক রয়েছে। আপনার এই ব্যবধান কমিয়ে আনেন। আপনাদের আরো সাতদিন সময়ে দেওয়া হলো। মজুরি বোর্ডের
শ্রমিক মালিক পক্ষের প্রস্তাবে সব সময় পাথক্য থাকে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বৈশিক অর্থনীতির অবস্থা ও শিল্প-উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সামনে রেখে আমরা এই প্রস্তাবনা তৈরি করেছি।
প্রস্বাবের যোক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তারপর এখন শুরু হয়েছে ইজরাইল ও হামাসের যুদ্ধ সব কিছু বিবেচনায় করে মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।
তবে চেয়ারম্যান যেহেতু শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মজুরি প্রস্তাব কমাতে বলেছেন, আমরা দ্রুত সময়ে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাপ অলোচনা করে আগামী সভায় জানিয়ে দেব।
এসময় সভায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষ এবং নিম্নতম মজুরি বোর্ডের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সভার সামনে গতকাল সকাল থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলো নূন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে। এর আগের সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কোনোভাবে জীবন চালিয়ে নিতে মজুরি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাব লিখিত আকারে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) শ্রমিকদের জীবন-মান মূল্যায়ন করে ন্যূনতম বেতন ১৭ হাজার ৫৬৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।