, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আমার খুব ইচ্ছা, ট্রোলকারীদের গরু জবাই করে খাওয়াই: জায়েদ খান

  • আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৩ ০৩:০১:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৩ ০৩:০১:২৪ অপরাহ্ন
আমার খুব ইচ্ছা, ট্রোলকারীদের গরু জবাই করে খাওয়াই: জায়েদ খান
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। সেখানে কয়েক সেকেন্ডের একটি দৃশ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা টিক্কা খানের চরিত্রে দেখা গেছে জায়েদ খানকে। যথারীতি এটা নিয়েও হাসি মশকরার শিকার হয়েছেন জায়েদ খান।

এভাবে তিনি যা-ই করেন, তা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে বয়ে যায় ট্রলের বন্যা। যদিও এসব ট্রল বা হাসি, ঠাট্টাকে কখনোই পাত্তা দেননি জায়েদ খান। উল্টো যারা তাকে ট্রল করেন, তাদের গরু জবাই করে খাওয়ানোর কথা বললেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান জায়েদ খান।

কিন্তু কেন? যারা তাকে নিয়ে এত হাসি, ঠাট্টা, মশকরা করেন, সেই লোকদেরই তিনি গরু জবাই করে খাওয়াতে চান! বিষয়টি আশ্চর্যের নয় কি? জায়েদ খানের দাবি, এই ট্রলের বিষয়টি তাকে প্রচুর আনন্দ দেয়। অভিনেতা বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা, একদিন তাদের একটা গরু জবাই করে খাওয়াই। কারণ, তারা আমাকে এত এত ট্রল করে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছেন। যারা আমাকে চিনতেন না, তাদেরও চিনিয়ে দিচ্ছেন।’

গত কয়েক দিন আগের ঘটনা জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি রামপুরা যাচ্ছিলাম। পথে আখের রস খাবো বলে গাড়ি দাঁড় করালাম। গাড়ির গ্লাস খুলতেই এক মুরগিওয়ালা আমাকে দেখে চিৎকার দিয়ে বললেন, ‘আরে জায়েদ ভাই না। আসতেছি আসতেছি।’

অভিনেতা বলেন, ‘আমি ওই মুরগিওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি আমাকে চিনলেন কীভাবে? আমার কোনো সিনেমা দেখেছেন?’ লোকটি বললেন, ‘না না, মোবাইল খুললেই তো আপনাকে দেখা যায়।’ আমার অবস্থাটা এখন বোঝেন তাহলে।’

শুধু ট্রলই নয়, ফেসবুকে জায়েদ খানের কোনো ছবি পোস্ট হলে তার নিচে হাসির ইমোজির বন্যা বয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান ওপরওয়ালার কাছে। ওরা আমাকে দেখে হাসে, কাঁদে না। দিলদার ভাই মারা গেছে তো কী হয়েছে, হাসির ব্যাপারটা ওদের মধ্যে দিয়ে গেছে। এ জন্য ওরা আমাকে দেখে হাসে।’

তাহলে কি জায়েদ খান নিজেকে কৌতুক অভিনেতা দিলদারের সঙ্গে তুলনা করেন? অভিনেতা বলেন, ‘আমি দিলদারের সঙ্গে তুলনা করলে কী আর সালমান শাহর সঙ্গে তুলনা করলেই বা কী, ওরা যা করার করবেই। ওরা আমার সিরিয়াস কোনো কাজেও ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেয়। ওরা কিছু না বুঝেই এটা করে। ওদের কাজই এটি।’

জায়েদ খানের কথায়, ‘এসব মানুষ তো আমার কাছে বসতেও পারে না। ওদের ট্রল, ‘হা হা’ রিঅ্যাক্টে আমি জায়েদ খান এগিয়ে চলেছি। ওরা যখন আনাচে কানাচে বসে ট্রল করে, ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেয়, আমি তখন আমেরিকায় টাইম স্কয়ারে বসে সময় কাটাই।’

এদিকে ট্রোলকারীদের উদ্দেশ্যে জায়েদ খানের উপদেশ, ‘তোমরা ক্লোজআপ কিংবা ছাই দিয়ে দাঁত মাজো কি না জানি না, তবে এত হেসো না। কিছু জমিয়ে রাখো। নইলে আপনজন মারা গেলেও কান্নার বদলে হাসি বেরিয়ে আসবে। তাই এসব থেকে বেরিয়ে আসো।’
সর্বশেষ সংবাদ