এবার কি দুর্দান্ত খেলাটাই না খেললেন হেনরিখ ক্লাসেন। দলের রান যখন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬ ওভারে ১৬৪, তখন ক্রিজে আসেন ক্লাসেন। আউট হন একদম শেষ ওভারে। তবে তার আগে ৬৭ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই মারকুটে ইনিংসেই প্রোটিয়ারা পায় ৩৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ।
এদিকে ইংলিশদের ২২৯ রানের হারানোর দিনে তাই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠেছে ক্লাসেনের হাতেই। শনিবার ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটা আমার অন্যতম সেরা একটি ইনিংস। আমি খুব সুন্দরভাবেই বল মারতে পারছিলাম। এই ইনিংসটি আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা একটি হয়ে থাকবে আজীবন।’
মুম্বাইয়ের প্রচণ্ড গরমে এমন ইনিংস খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ক্লাসেনকে। তিনি বলেন, ‘এমন গরমে প্রচুর শক্তি ইনার্জি ক্ষয় হয়েছে। অসম্ভব গরম ছিল। তারা শারীরিকভাবে এই গরমে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল এবং কয়েকটি উইকেট তাদেরকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।’
ক্লাসেনকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছেন মার্কো জানসেন। তিনি ৪২ বলে ৭০ রানের ধুমধারাক্কা ইনিংস খেলে রানের চাকা সচল রাখেন। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার জানসেনের প্রাপ্য বলে মনে করেন ক্লাসেন। প্রোটিয়া ব্যাটার বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ডটি তারই প্রাপ্য। তার রানগুলো বেশি দরকারি ছিল। সে-ই আমাকে বলেছে ১০০ না করে আউট না হতে।’
এদিকে ডাচদের বিপক্ষে হারটি যে কেবলই অঘটন ছিল, সেটিও মনে করালেন ক্লাসেন। একটি ম্যাচে হার দেখে কখনোই ভালো খারাপ বিবেচনা করা যায় না। ‘নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে হারটা কঠিন ছিল আমাদের জন্য। কিন্তু আমরা জানতাম ভালো ক্রিকেট খেলছি কয়েকদিন যাবত। একটা হার আমাদের খারাপ দল বানিয়ে দেয়নি।’