এবার বিরাট কোহলির ওভাবে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে চাওয়াতে কি বাংলাদেশকে কিছুটা খাটো করে দেখানো হলো? এ বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাংলাদেশের বোলাররা যখন বুঝতে পারলেন কোহলি সেঞ্চুরির জন্যই খেলছেন, তাঁরা টানা কয়েকটি ওয়াইড কেন করলেন না? এ প্রশ্নও উঠছে।
তবে সেসব তো তাত্ত্বিক আলোচনা। কোহলি সেঞ্চুরি করবেন কি না, লোকেশ রাহুল এভাবে সিঙ্গেল না নিয়ে কোহলির সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজনীয় রান বাঁচিয়ে রাখবেন কি না, সেটা ভারতের ব্যাপার। জয় নিশ্চিত দেখে নিজের সেঞ্চুরির জন্য খেলা কোহলির ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোহলি এভাবে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে বা ক্রিকেট খেলাটাকে ছোট করে দেখালেন কি না, সেটা বিতর্কের বিষয়।
তবে এর মধ্যে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা আজ পুনেতে বিতর্ক তুলে দিয়েছে, যেটি শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা বা বিতর্কের সীমায় আবদ্ধ নেই। কোহলির সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ছক্কার ঠিক আগে নাসুমের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলেও আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরোর ওয়াইড না দেওয়া।
ভারতের ইনিংসের ৪৩তম ওভারের ঘটনা। প্রথম বলটাই নাসুম করেছিলেন লেগ সাইডে। কোহলি একটু সামনের দিকে সরে এসে খেলতে চেয়েছিলেন, ব্যাটে-বলে হয়নি। সাদা চোখে তাই ওয়াইডই মনে হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার কেটেলবোরো ওয়াইড দেননি। ক্যামেরা যখন তাঁর মুখের ওপর ধরা হলো, দেখা গেল, তিনি মুচকি হাসছেন।
এতেই বিতর্ক উঠে গেল, আম্পায়ারও কি তাহলে কোহলির সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন? সে সময় ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান, কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানে। ওয়াইডটা দিলেই যে কোহলি সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়ে যেতেন, এমন নয়। তখনো তো এক রান দরকার হতো ভারতের। আর কোহলি তো নাসুমের সেই ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরেই সেঞ্চুরির পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। ওয়াইড হলেও পরে ছক্কাটা মারলে কোহলির সেঞ্চুরি তখনো হতো।
কিন্তু কী হলে কী হতো, সে ভিন্ন আলোচনা। আম্পায়ার ওয়াইড দেওয়া বা না দেওয়ায় বাংলাদেশেরও কিছু এসে-যায় না। তবে ক্রিকেটের নিয়মটা এ ক্ষেত্রে একটু পেছনের পাতায় চলে গেল কি না, সে বিতর্ক উঠছে। কেটেলবোরোর জন্য একটু অস্বস্তিকর তথ্য হতে পারে এটি যে, এই আলোচনা বা বিতর্কে যোগ দেওয়া মানুষের অভাব হবে না। ভারতের সংবাদমাধ্যমে জানা যাচ্ছে, কোহলির সেঞ্চুরির সময়টাতে ভারতীয় সম্প্রচারক স্টার স্পোর্টসে চোখ রেখেছিলেন ৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ!