২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলের। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্র করার পর এবার উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে সেলেসাওরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ ছিল নিষ্প্রভ। বিশেষ করে নেইমার মাঠ ছাড়ার পর রিচার্লিসনদের যেন মাঠেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিন, প্রথমার্ধের শেষদিকে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। নিকোলাস দে লার ফাউলে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ব্রাজিলের তারকা এই ফুটবলারের ইনজুরিতে পড়া যেন নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে ইনজুরি থেকে সেরে পুরোপুরি ফিট হন তিনি।
সৌদি লিগের ক্লাব আল হিলালের জার্সিতেও গোল পাচ্ছিলেন নেইমার। এরই মধ্যে ব্রাজিলের জার্সিতে মাঠে নেমে আবারও বড় ইনজুরিতে পড়েন তিনি। নেইমারের ইনজুরি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
জানা গেছে, নেইমারের বাঁ হাটু প্রচন্ডভাবে মচকে গিয়েছে। লিগামেন্টের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা হবে ব্রাজিলের এই পোস্টার বয়কে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই চূড়ান্তভাবে জানা যাবে আবারও মাঠের বাইরে থাকতে হবে কি না নেইমারকে।
এদিকে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য যেখানে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা ব্রাজিলের, সেখানে দলটির ফরোয়ার্ডরা ছিল নিষ্প্রভ। পুরো ম্যাচজুড়েই ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডদের ‘বাক্সবন্দি’ করে রাখে উরুগুয়ের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোর মতো ফুটবলার থাকার পরও ৯০ মিনিটে কেবল একটি শট অন-টার্গেটে রাখতে সক্ষম হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।