, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আর একবার সুযোগ পেলে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব: প্রধানমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ১৬-১০-২০২৩ ০৭:১৮:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১০-২০২৩ ০৭:১৮:২৯ অপরাহ্ন
আর একবার সুযোগ পেলে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব: প্রধানমন্ত্রী
এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালকে আরো আধুনিক ও উন্নত করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি ভবিষ্যতে আর একবার জাতির সেবা করার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ, আমরা স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব।  
 
আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপন’ কার্যক্রমের ৪র্থ পর্যায়ে ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ’কমিউনিটি আই সেন্টার’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীএকথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি পানি সম্পদ মণন্ত্রণালয়ের ৮০টি উন্নয়ন প্রকল্প ও পুনঃখননকরা ৪৩০টি ছোট নদী-খাল-জলায়ের উদ্বোধন এবং নতুন অনুমোদিত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
 
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে ৪ থেকে ৫ হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলবো। কোভিড-১৯ না এলে এবারই সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন করে ফেলতো। আমদানী-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এবং রিজার্ভে টাকা জমা পড়ায় আমরা দুহাতে টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচিয়েছি।

এসব খাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় অনেক কাজ আমরা শুরু করতে পারিনি। ইনশাল্লাহ, আগামীতে সুযোগ পেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে যেমন উন্নত করবো তেমনি প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আমরা আরো উন্নত করবো।

প্রধানমন্ত্রী কোভিডের ভ্যাকসিন আগে আনা, গবেষণার জন্য ১২শ’ কোটি টাকা অগ্রিম প্রদান, অনেক উন্নত দেশ না পারলেও বিনামূল্যে এ দেশের মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান, টিকা সংরক্ষণে উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদের জন্য আলাদা ভাতা প্রদান, পৃথক আবাসনের ব্যবস্থা করা, তাদের নিরাপত্তার জন্য কোভিড প্রতিরোধী সুরক্ষা স্যুট আমদানী, টিকা প্রদান প্রক্রিয়ার ব্যয় এবং জনগণকে বাঁচাতে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের খতিয়ান তুলে ধরেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডাক্তার-নার্সদের আবাসনে সরকার উন্নত বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ শুরু করেছে, ভবিষ্যতে আরো করে দেওয়া হবে। আগামীতে সুযোগ পেলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনরকম অবহেলা যেন না হয়, সে ব্যবস্থা তাঁর সরকার করে দেবে।

২শ’টি ‘কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপন’ করার ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ এখন চক্ষুসেবা পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২০ লাখ জনগণ এর সেবা গ্রহণ করেছে। ফলে অকাল অন্ধত্ব থেকে অনকেইে মুক্তি পেয়েছে, অনেক দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে চশমা সরবরাহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে এই সেবার ব্যবস্থা করা হবে।
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান