, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


টিকটক ও টেন মিনিট স্কুলের পার্টনারশিপ

  • আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৩ ০৪:৪৭:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৩ ০৪:৪৭:০৪ অপরাহ্ন
টিকটক ও টেন মিনিট স্কুলের পার্টনারশিপ
হ্যাশট্যাগ এক্সামরেডি ডিজিটাল লার্নিং প্রোগ্রাম চালু করতে টিকটক পার্টনারশিপ করলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এড-টেক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের সাথে। অনলাইন শিক্ষা এবং রিমোট লার্নিংয়ের সুবিধা দিতে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এর কার্যক্রম তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে শিক্ষাখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই উদ্যোগটি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

টিকটকের #ExamReady প্রোগ্রামটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে অ্যাক্সেসযোগ্য করা হবে। এই প্রোগ্রামের আওতায় থাকবে ৪০০টিরও বেশি শিক্ষামূলক ভিডিও। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, গণিত, বাংলা, ইংরেজি ব্যাকরণ এবং আইসিটির মতো বিষয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়া, পড়ালেখা বিষয়ক টিপস এবং পরীক্ষার হ্যাকগুলো নিয়েও ভিডিও তৈরি করা হবে। প্রথম রাউন্ডের কনটেন্টগুলো এই বছরের অক্টোবরে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মানসিক বিকাশের জন্য উন্নত মানের শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করা কঠিন। তবে টেন মিনিট স্কুল, ২০২২ সালে তাদের অনলাইন কোর্সের ক্ষেত্রে এতে অর্জন করেছে কৃতিত্ব। যেখানে ভিউয়িং টাইম ছিল ১ মিলিয়ন মিনিট এবং এতে যুক্ত ছিল ৩০,০০০ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে টিকটকের মাসে গড় ব্যবহারকারী থাকে ১ বিলিয়ন। তাই এই পার্টনারশিপের ফলে, টিকটকের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লাখ লাখ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে মানসম্পন্ন শিক্ষামূলক কনটেন্ট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।

এই প্রোগ্রামটির পাশাপাশি, টিকটক এবং টেন মিনিট স্কুল শুরু করবে ‘#এক্সামরেডি  স্কলারশিপ প্রোগ্রাম’। এই প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হল সারা দেশে ১৫,০০০ যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকবে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী (৮ম-১০ম শ্রেণি) এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। যেখানে প্রায় মোট শিক্ষার্থী হবে ১০-১২ মিলিয়ন। বৃত্তির মাধ্যমে আর্থিক সংকট দূর করার সাথে সাথে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য সফলভাবে প্রস্তুতি প্রদান নিশ্চিত করবে এই প্রোগ্রামটি।

টিকটকের পাবলিক পলিসি ফর ইমার্জিং মার্কেটস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির গ্লোবাল হেড, হেলেনা লের্শ বলেন, “টেন মিনিট স্কুলের সাথে এই পার্টনারশিপটি মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল অ্যাক্সেসের একটি প্রতিশ্রুতি। স্বাক্ষরতার প্রচার করতে এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে আমরা কাজ করতে চাই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সমান অধিকার প্রদান করতে এই প্রোগ্রামটি অবদান রাখবে।”
আরও যতদিন থাকতে পারে গরম

আরও যতদিন থাকতে পারে গরম