এবার ইসরায়েল বাহিনীর রকেট হামলা অবহ্যাত থাকায় এখন চারিদিকে মৃত্যুর গন্ধ বলে জানিয়েছেন গাজার এক হাসপাতালের সার্জারির প্রধান মাহমুদ মাতার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, আহতের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে আমরা সম্পূর্ণ হতবাক হয়েছি। মরদেহগুলো টুকরো টুকরো হয়ে আসে। আমি একজন চিকিৎসক তবুও আমি মৃত্যুর দৃশ্য দেখে কিছুই খেতে পারছি না।
হাসপাতালে গুরতর আহতদের বরাত দিয়ে ওই চিকিৎসক বলেছেন, 'এখানে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের বেশিরভাগ গুরতর আহত। তাদের সামনেই তাদের পরিবারের সবাই মারা গেছে। তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে।'
'আমরা সবাই অক্ষম, তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছি না। আমরা তাদের সাহায্য করতে পারছি না।' তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে আমি ডাক্তার হতে চায় না। আমি যখন ডিউটিতে তখন আমার বাচ্চারা ঘরে বসে কাঁদছে। আমি আমার নিজের পরিবারকে বাঁচাতে পারছি না।'
মাহমুদ বলেন, 'হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার অবিরাম অপারেশন চলছে এবং হাসপাতালের শয্যা ভর্তি হয়ে গেছে।' তার দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১০ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স কর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন। তার পরিচিত একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ইউরোলজিস্ট মারা গেছেন।
ওই ডাক্তার বলেছেন, 'গাজার চারদিকে এখন মৃত্যুর গন্ধ। পানি নেই, বিদ্যুৎ থাকবে না এবং আমাদের নেটওয়ার্ক সংযোগ খুবই খারাপ। আমি বর্তমানে পানি খুঁজছি।' গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল বাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজারের বেশি বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।